স্ত্রীর করা যৌতুকের মামলায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. সাজ্জাদ হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। তিনি ঢাকা আইনজীবী সমিতিরও একজন সদস্য।
ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু নাছের মো. জাহাঙ্গীর আলম বুধবার (২৩ মে) আসামির স্থায়ী জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জানা গেছে, মামলার বাদী মোসা. ইসমত আরাও ঢাকা আইনজীবী সমিতির একজন সদস্য। যৌতুক চেয়ে নির্যাতনের অভিযোগে আসামির বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ২২ অক্টোবর রাজধানীর সূত্রাপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন আইনজীবী ইসমত আরা। মামলার পর ওই বছর ৩১ অক্টোবর আইনজীবী সাজ্জাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর ওইদিনই তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায় সিএমএম আদালত। ১৩ দিন কারাবাসের পর ওই বছর ১৩ নভেম্বর জামিন পান ওই আইনজীবী। মামলাটি তদন্তের পর চলতি বছর ৩১ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন সূত্রপুর থানার এসআই গোলাম হোসেন খান। বুধবার ওই আসামি ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিন স্থায়ীর আবেদন করলে বিচারক তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলায় বাদিনী জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে শুনানিতে বলেন, ওই আসামি আগের বিয়ের কথা গোপন করে তাকে বিবাহ করেছেন। জামিন পওয়ার পর পিতা ও তাকে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন।
মামলায় বলা হয়, ২০১৬ সালের ১৯ আগস্ট বাদিনী ও আসামির মধ্যে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় তিন লাখ টাকা যৌতুক দেন। বিয়ের কিছুদিন পর আরও ২৬ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যা দিতে অস্বীকার করায় আসামি বাদিনীকে মারধর করেন।
আসামি আইনজীবী সাজ্জাদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার কালুপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। অন্যদিকে বাদিনী আইনজীবী ইসমত আরা নওগাঁ জেলার পত্নীতলা থানার বুজরত মহাম্মাদপুর গ্রামের একরামুল হকের মেয়ে।