আজকে দুপুরে বিজয় স্মরণি মোড়ে একজন ট্রাফিক পুলিশ দেখি প্রচন্ড গরমে রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে ডিউটি করছিলো। সিগনালে আটকা আমি। এমন গরম উবারের এসি কাজ করা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে।
জিজ্ঞেস করলাম “ভাই রোজা আছেন?” বললো “জি ভাই, আল্লাহর রহমতে সবগুলাই”. আমি বললাম “এই কাজের চাপে কষ্ট হয় না?” বললো, “অভ্যাস হয়ে গেছে। কিন্তু গত ৪-৫ দিনের গরমে একটু কষ্টটা বেশি হচ্ছে”।
খেয়াল করলাম পাশেই একটা শেডের মতন বানানো আছে যেখান থেকে ট্রাফিক ছায়ার নিচে তাদের ডিউটি করতে পারে। আমি জিজ্ঞেস করলাম উনি ওই শেডটি ব্যবহার করছেন না কেন। উত্তরে বললেন, “ভাই, গাড়িওলারা তো সিগন্যাল মানে না, হাত দেখাইলে থামায় না; রাস্তার মাঝখানে নিজের শরীরটা আগায় না দিলে সবাই চেষ্টা করে সিগনালের শেষ গাড়ি হিসেবে পার হইতে”।
বেশ লজ্জা লাগলো। এই চেষ্টায় তো আমি নিজেই থাকি সবসময়। আইন না মানার এই প্রবণতা আমার আপনার সবারই আছে। আর এসি গাড়ি হাঁকানো মানুষের মাঝে সবচেয়ে বেশি, যার ভুক্তভুগি হয় এই খেটেখাওয়া মানুষেরা। আসুন, চলার পথে আইন সবসময়ই মেনে চলার চেষ্টা করি। দেশের জন্য না হোক, অন্তত যাতে এই রোজাদার পরিশ্রমী মানুষগুলা কাঠফাটা গরমে একটু ছায়ার নিচে দাঁড়িয়ে হলেও তাদের ডিউটিটা করতে পারে।
(আইনজীবী ও গবেষক ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদ এর ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে নেয়া)