বেসিক ব্যাংকের ঋণ জালিয়তির ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের কার ৬ মামলায় সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) ফজলুস সোবহানকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
জামিন সংক্রান্ত রুল যথাযথ ঘোষণা করে আজ বৃহস্পতিবার (৩১ মে) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বুধবার আসামি ও দুদক উভয় পক্ষের শুনানি শেষে মামলায় বিষয়ে আদেশের জন্য আজ বৃহস্পতিবার (৩১ মে) দিন ধার্য ছিল। ওইদিন আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও সৈয়দ মামুন মাহবুব। আসামিপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এমআমিন উদ্দিন মানিক।
ঋণ জালিয়াতির দুর্নীতির মামলার আইন অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে তদন্ত শেষ করতে না পারার কারণ ব্যাখ্যার জন্য মামলার আট তদন্ত কর্মকর্তা ও দুই তদারক কর্মকর্তা সকল নথিসহ বুধবার আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত ২৩ মে হাইকোর্টের এ দ্বৈত বেঞ্চ তাদেরকে তলব করেন।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, বেসিক ব্যাংকের অন্তত ৫৬ মামলার মধ্যে কয়েকটি মামলার আসামি ফজলুস সোবহান, শিপার আহমেদসহ কয়েকজনের জামিন শুনানিতে দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা সৈয়দ ইকবালসহ সকল মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে বুধবার হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। সে অনুযায়ী তারা বুধবার আদালতে উপস্থিত হয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, আইন অনুযায়ী ১৮০ দিনের মধ্যে এসব মামলার তদন্ত শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু প্রায় আড়াই বছর পার হলেও এখনও তদন্ত শেষ হয়নি। এর কারণ ব্যাখ্যার জন্য তাদেরকে তলব করা হয়।
বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারিতে ২০১৫ সালের ২১-২৩ সেপ্টেম্বর ১৫৬ জনকে আসামি করে মতিঝিল, পল্টন ও গুলশান থানায় ৫৬টি মামলা দায়ের করে দুদক। মামলার ১৫৬ আসামির মধ্যে বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা ২৬ জন। বাকি ১৩০ জন আসামি ঋণ গ্রহীতা ৫৪ প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী ও সার্ভে প্রতিষ্ঠানের। এর মধ্যে বেসিক ব্যাংকের সাবেক এমডি কাজী ফখরুল ইসলামকে ৪৮টি, ডিএমডি ফজলুস সোবহানকে ৪৭টি, কনক কুমার পুরকায়স্থকে ২৩টি এবং ডিএমডি এমোনায়েম খানকে ৩৫টি মামলায় আসামি করা হয়। পরবর্তীতে আরও মামলা হয়।