সারাদেশে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আরও চার মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বগুড়ায় একজন, রংপুরের কাউনিয়ায় একজন এবং ময়মনসিংহে দুই দল মাদক ব্যবসায়ীর নিজেদের মধ্যে গোলাগুলিতে দু’জন নিহত হয়েছেন।
বগুড়া
বগুড়ায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন লিটন ওরফে রিগ্যান নামে মাদক ব্যবসায়ী। সোমবার রাত সোয়া ২টার দিকে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ লিটন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোর পৌনে ৪টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে মারা যান। লিটন চকসূত্রাপুর এলাকার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি শহরের ফুলবাড়ি এলাকায় থাকতেন।
বগুড়ায় পুলিশে মিডিয়া বিভাগের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, এ ঘটনায় গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের দুই কনস্টেবল আহত হয়েছেন। তাদের বগুড়া পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, একদল মাদক ব্যবসায়ী শহরের মাটিডালি বিমান মোড় এলাকায় মাদকের চালান হাতবদল করছে বলে খবর পায় পুলিশ। এরপর সোমবার রাত সোয়া ২টার দিকে বগুড়া ডিবি পুলিশের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর নূরে আলম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ইন্সপেক্টর আসলাম অভিযানে যান। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ী চক্রের সদস্যরা গুলি ছোড়ে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়ে তাদের পিছু ধাওয়া করে। ঘটনাস্থলে একজনকে আহত অবস্থায় পেয়ে উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোর পৌনে চারটার দিকে তার মৃত্যু হয়। লিটনের বিরুদ্ধে থানায় মাদক আইনে পাঁচটি মামলা রয়েছে।
শজিমেক হাসপতাল সংলগ্ন ছিলিমপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আব্দুল আজিজ মণ্ডল জানান, লিটন ওরফে রিগ্যানকে রাত ২টা ৫০ মিনিটে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার বাম পায়ে গুলি লেগেছিল।
রংপুর
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ বাবু পাড়া এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন রবিউল ইসলাম নামে মাদক ব্যবসায়ী। সোমবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত দবিরুল পৌর এলাকার ৫ নং ওয়ার্ডের চেংটারী গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে।
কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন-উর-রশিদ জানান, মাদক ব্যবসায়ীরা হারাগাছ বাবুপাড়া এলাকায় অবস্থান করছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযানে যায়। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে মাদক ব্যবসায়ী চক্রের সদস্যরা। পুলিশ পাল্টা গুলি ছুড়লে রবিউল ইসলাম মারা যান ও অন্যরা পালিয়ে যান। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি দেশি পিস্তুল, ১২৬ পিস ইয়াবা, ১৭৩ বোতল ফেনসিডিল ও তিনটি ছোড়া উদ্ধার করেছে।
ওসি আরও জানান, রবিউল ইসলামের নামে কাউনিয়া থানায় মাদক আইনে ১০টি মামলা রয়েছে। তার লাশ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে।