কুমিল্লায় নাশকতার অভিযোগে করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের বিষয়ে শুনানি আগামীকাল সোমবার পর্যন্ত মুলতবি করেছেন হাইকোর্ট।
আজ রোববার (১০ জুন) বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, কায়সার কামাল, একেএম এহসানুর রহমান ও অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা প্রমুখ। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন প্রমুখ।
এর আগে জামিন আবেদনের ওপর ৭ জুন শুনানি হয়। শুনানিকালে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তার জামিন আবেদনের শুনানি করতে বিচারিক আদালতে (খালেদা জিয়ার আবেদনের শুনানি বিচারিক আদালতে চলমান) নির্দেশনা চেয়ে আবেদন জানায় এবং এ সংক্রান্ত গত ৬ জুনের হাইকোর্টের একটি রায় আদালতে উপস্থাপন করেন। কিন্তু সে রায়টি পড়তে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আজ রবিবার (১০ জুন) পর্যন্ত সময় আবেদন করেন। এরপর আদালত সময় মঞ্জুর করে মামলার শুনানি মুলতবি রেখেছিলেন। তবে আজ রবিবার পুনরায় শুনানি নিয়ে মামলাটি আগামীকাল পর্যন্ত মুলতবি করেন আদালত।
গত মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জামিন আবেদনটি দাখিল করেছিলেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ রানা।
২০-দলীয় জোটের অবরোধ চলাকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামে বাসে দুষ্কৃতকারীদের ছোড়া পেট্রলবোমার ঘটনায় ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলা করে।
এ বছরের ২৮ মে কুমিল্লার একটি আদালতে গ্রেফতার দেখানো-পূর্বক জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়া। সেই আবেদন নামঞ্জুর করে আগামী ৮ আগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন বিচারিক আদালত। কিন্তু তার আগেই ওই আদেশের বিরুদ্ধে গত ৫ জুন হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়া। এর পরিপ্রেক্ষিতেই আবেদনটি শুনানির জন্য বৃহস্পতিবারের কার্যতালিকায় রাখা হয়।
প্রসঙ্গত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত। রায় ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়।