গাজীপুরে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন ভোটাররা। ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তারা। শেষ পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ যেনো এভাবে থাকে এজন্য আশা প্রকাশ করেছেন।
অন্যদিকে, যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। ভোটারদের চেক করে কেন্দ্রে প্রবেশ করানো হচ্ছে। মোবাইল ফোন নিয়ে কাউকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
আজ মঙ্গলবার (২৬ জুন) গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৫২, ৫৩, ৫৪, ৫৫, ৫৬, ৫৭, ৫৮, ৬০ নম্বর ওয়ার্ড ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
আলী আহসান নামে এক ভোটার গণমাধ্যমকে বলেন, ভোট কেন্দ্রের সুষ্ঠু পরিবেশ দেখে ভালো লাগছে। বাকি সময়টা এমন পরিবেশ প্রত্যাশা করি।
হামিদ বিশ্বাস নামে অপর একজন বলেন, খুব সকাল ভোট দিতে পেরে ভালো লাগছে। আইনশৃংখলা নাহিনী রয়েছে। তাই নির্ভয়ে সুষ্ঠু পরিবেশে সবাই ভোট দিচ্ছেন।
ঢাকা মেট্রোপলিট্রন পুলিশের (ডিএমপি) সহকারী কমিশনার আবদুল্লাহ আল মামুন গণমাধ্যমকে জানান, ভোটাররা যাতে সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারেন এজন্য নির্বাচন কমিশন সচেতন রয়েছে। আমরা ভোটপ্রয়োগে ক্ষেত্রে ভোটারদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছি। যেকোনো কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ভোটের মাঠে রয়েছে আইনশৃংখলা নাহিনী।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ৫৭টি ওয়ার্ড কাউন্সিলরের মধ্যে ইতোমধ্যে একজন ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ৫৭টির মধ্যে ৫৬টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ২৫৪জন এবং সংরক্ষিত ১৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৮৪জন অংশগ্রহণ করছে। মেয়র পদের জন্য ৭ জন প্রার্থী এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন রিটার্নিং কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মোট ৫৭টি ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৭ জন। এরমধ্যে পুরুষ ৫ লাখ ৭৯ হাজার ৯৩৫ জন এবং নারী ভোটার ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৮০১ জন। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণের জন্য ২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
আইনশৃংখলা বাহিনীর ১২ হাজার (র্যাব, পুলিশ ও আনসার) সদস্যরা মাঠে আছেন বলে গাজীপুর পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১৯ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।