সময় পালটেছে। পালটেছে বিয়ে নিয়ে মানুষের ধারণা। ক্যাজুয়াল সম্পর্কের দিকে ঝুঁকছে আজকের প্রজন্ম। দুই প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ-মহিলা সামাজিকতার তোয়াক্কা না করেই শরীরী সম্পর্কে লিপ্ত হচ্ছেন। দীর্ঘদিনের এমন সম্পর্ককে কি বিয়ের মতো সামাজিক বন্ধনের সমান মর্যাদা দেওয়া যেতে পারে? এমনটাই জানতে চাইল ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট। এ বিষয়ে মতামত জানানোর জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপালকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এক মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই শীর্ষ আদালতে বিষয়টি ওঠে। ধর্ষণে অভিযুক্ত এক ব্যক্তি আদালতে দাবি করেন অভিযোগকারী মহিলার সঙ্গের দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত তিনি। দুই পক্ষের সম্মতিতেই এই সম্পর্ক স্থাপন হয়েছে। তিনি মহিলাকে জোরও করেননি। কিন্তু এর জন্য তিনি বিবাহ করতে বাধ্য নন। সেই সিদ্ধান্তই মহিলাকে জানিয়েছিলেন। এর জেরে মহিলা ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন। এমন মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জানান, বিয়ে ছাড়াও শারীরিক সম্পর্কের দায় থেকে যায়। কিন্তু ভারতীয় সংবিধানে এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনও আইন না থাকায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযুক্তরা ছাড়া পেয়ে যান। এমন সম্পর্ককে কি বিয়ের সমতুল্য হিসেবে ধরা উচিত? সেক্ষেত্রে এমন শারীরিক সম্পর্কের মেয়াদ কত দিন হতে হবে? এ নিয়ে মতামত দেওয়ার জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপালকে আদালত নির্দেশ দিয়েছে একজন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলকে বিশেষ ভাবে নিযুক্ত করতে।
আদালতের মতে, দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক সম্পর্ক থাকলে বিয়ের মতোই কিছু দায়িত্ব তৈরি হয়ে যায়। ফলে, একে আইনি পরিধির মধ্যে আনা জরুরি। এই ধরনের সম্পর্কে কোনও অভিযোগ উঠলে কিংবা মহিলা কোনও রকম নির্যাতনের শিকার হলে যাতে আইনি পথে পুরুষ সঙ্গীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। সেই জন্যই এ বিষয়ে মতামত জানতে চেয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানি আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসের ১২ তারিখ ফের শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন