কুমিল্লার দাউদকান্দিতে এক বিধবা নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে কবির হোসেন নামে একজনের যাবজ্জীবন ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার (৪ জুলাই) দুপুরে কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল – ৩ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন।
আসামি কবির পলাতক রয়েছে। তার বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গোপালপুর গ্রামে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদী পক্ষের আইনজীবী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন কোর্টের পিপি অ্যাড. নিশাত সালাউদ্দিন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০১ সালের ৯ নভেম্বর জেলার দাউদকান্দি উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মৃত শান্তি মিয়ার স্ত্রী এবং দুই সন্তানের জননী হালিমা খাতুনকে ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করে একই গ্রামের কবির হোসেন। এতে হালিমা গর্ভবতী হয়ে পড়েন। পরে কবির গর্ভপাত করানোর জন্য হালিমাকে চাপ দেয়। ঘটনাটি কাউকে বললে তাকে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়।
পরে হালিমা বিষয়টি কবিরের অবিভাবককে জানালেও তারা কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় হালিমা ২০০২ সালের ১১ মে কবিরকে আসামি করে দাউদকান্দি থানায় নারী নির্যাতন আইনে একটি মামলা করেন। পরবর্তীতে হালিমা একটি মেয়ে সন্তান জন্ম দেন।
পুলিশ তদন্ত করে ওই বছরের ২৫ জুলাই কবিরকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। এই ঘটনায় ৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত কবিরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।