সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটাপদ্ধতি পর্যালোচনা, সংস্কার বা বাতিলের বিষয়ে সরকারের গঠিত কমিটির প্রথম বৈঠক হয়েছে। প্রথম সভায় দেশে–বিদেশে কোটাসংক্রান্ত যেসব তথ্য আছে এবং এ বিষয়ে বিভিন্ন কমিটির প্রতিবেদন সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এই তথ্যগুলো পাওয়ার পর পরবর্তী সভা হবে।
আজ রোববার (৮ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কমিটির আহ্বায়ক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা শেষে সাচিবিক দায়িত্বে থাকা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবুল কাশেম মোহাম্মদ মহিউদ্দিন কমিটিকে এ কথা জানান।
যুগ্ম সচিব বলেন, ওই তথ্যগুলো পাওয়ার পর কমিটির দ্বিতীয় সভা হবে। তিনি বলেন, নির্ধারিত ১৫ দিনের মধ্যেই কাজটি শেষ করার চেষ্টা চলছে। এই সময়ের মধ্যে কাজটি শেষ করতে না পারা গেলে পরে বলা যাবে। তাঁরা ১৫ দিনের মধ্যেই কাজটি শেষ করতে চাইছেন।
গত সোমবার রাতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটাপদ্ধতি পর্যালোচনা, সংস্কার বা বাতিলের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। কমিটিতে ছয়জন সচিবকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়।
বর্তমানে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৫৫ শতাংশ নিয়োগ হয় অগ্রাধিকার কোটায়। বাকি ৪৫ শতাংশ নিয়োগ হয় মেধা কোটায়। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতেও আছে বিভিন্ন ধরনের কোটা।
সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। গত ৮ এপ্রিল শাহবাগে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ লাঠিপেটা করলে এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে মারলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরদিন এ আন্দোলন দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে পড়ে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ১১ এপ্রিল সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন। এরপর গত মে মাসে কোটার বিষয়ে একটি কমিটি গঠনের জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সর্বশেষ কোটা সংস্কারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আন্দোলনে নামা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।