[youtube https://www.youtube.com/watch?v=ZqHm048Vfx8]
মানুষের জন্য আইন, আইনের জন্য মানুষ নয়। বাংলাদেশ সরকার প্রতিবন্ধীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশে প্রতিবন্ধীসহ সকল মানুষের অংশগ্রহণ থাকবে। কিন্তু বাস্তব পরিপেক্ষিতে আইন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী নিয়েও বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনে পরিক্ষা দিতে পারিনি। সকল যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও সেটা প্রমাণের সুযোগ না পাওয়ার আফসোস আমার সারা জীবনের। আমি পরিক্ষায় বসার যোগ্য ছিলাম কিন্তু আইনি বাঁধার কারনে আমি সে যোগ্যতা প্রমানের সুযোগ পাইনি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সুদীপ দাশ আদালত.টিভির একান্ত সাক্ষাৎকারে এইসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পর পর দুই বার বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনে আবেদন করে শ্রুতিলেখকের মাধ্যমে পরিক্ষায় অংশগ্রহনের অনুমতি না পেয়ে জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের সচিবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২০০৭ সালের নিয়োগ বিধির ১৩ তম তফসীল অনুযায়ী শারীরিকভাবে অক্ষম কেউ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনে পরিক্ষা দেওয়ার জন্য যোগ্য বিবেচিত হবে না। বাংলাদেশ সরকার প্রতিবন্ধীদের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ থেকে পড়াশুনা করে সর্বোচ্চ ডিগ্রী অর্জন করার সুযোগ দিয়েছেন। তাহলে প্রতিবন্ধীরা কেন সব সেক্টরে বিচরণ করতে পারবে না? প্রতিবন্ধীদের প্রতি এই বৈষম্য বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতি সরকারের আরও যত্নবান হওয়া উচিত।
সুদীপ আরও বলেন, প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয় বরং তারা এখন সমাজের সম্পদ। ইতিমধ্যে সমাজে প্রতিবন্ধীদের সফলতার স্বাক্ষর প্রতিলক্ষিত। সাউথ আফ্রিকায় প্রধান বিচারপতি একজন অন্ধ ছিলেন। যাকে নেলসন ম্যান্ডেলা নিয়োগ দিয়েছিলেন। এছাড়াও ভারতের তামিল প্রদেশ ও পাকিস্তানেও অন্ধ বিচারক নিয়োগ করা হয়েছে। সকল যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও সেটা প্রমাণের সুযোগ না পাওয়ার আফসোস আমার সারা জীবনের। তাহলে আমার ভিতর বিচারিক সক্ষমতা রয়েছে কিনা, তা প্রমাণের সুযোগ কি দেশের আইন আমাকে কখনো দেবে না?
(সাক্ষাৎকারে ছিলেন অ্যাডভোকেট বদরুল হাসান কচি ও প্রিন্স মাহামুদ আজিম।)