ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের কারাগারে দেশটির শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত মুন্না বজরঙ্গিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় কারারক্ষক, উপকারারক্ষকসহ চারজনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে বাঘপাত কারাগারে তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
মুন্না বজরঙ্গি ২০০৫ সালে বিজেপির আইনপ্রণেতা কৃষ্ণানন্দ রাই হত্যা মামলার আসামি হিসেবে বন্দী ছিলেন। আজ সকালে তাঁকে কারাগার থেকে আদালতে নেওয়ার কথা ছিল।
এ ঘটনার কিছুদিন আগে বজরঙ্গির স্ত্রী তাঁর স্বামীর প্রাণনাশের আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন। বজরঙ্গির স্ত্রী সীমা সিং ২৯ জুন পুলিশকে বলেছিলেন, তাঁর স্বামীর প্রাণনাশের আশঙ্কা রয়েছে। তাঁকে (বজরঙ্গি) হত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। জেল থেকে তাঁকে ছিনিয়ে নিয়ে ভুয়া ‘বন্দুকযুদ্ধে’ হত্যা করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। বিষয়টি তিনি মুখ্যমন্ত্রীকেও অবহিত করেছেন বলেও জানিয়েছিলেন।
সূত্রমতে, উত্তর প্রদেশের বাঘপাত কারাগারে সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে কারাবন্দীরা যখন সকালের চা পান করছিলেন, তখন সুনীল রাথিয়াত নামের এক বন্দী বজরঙ্গিকে গুলি করে হত্যা করেন। এক দিন আগে গতকাল রবিবার বজরঙ্গিকে ঝাঁসির কারাগার থেকে বাঘপাত কারাগারে আনা হয়।
মুন্না বজরঙ্গির প্রকৃত নাম প্রেম প্রকাশ। কৃষ্ণানন্দ রাইকে হত্যার অভিযোগে ২০০৯ সালের অক্টোবর মাসে মুম্বাই থেকে তিনি গ্রেফতার হন। ২০০৫ সালে কৃষ্ণানন্দকে একে-৪৭ অস্ত্র দিয়ে ১০০টিরও বেশি গুলি করা হয়।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এ ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমি বিচারবিভাগীয় তদন্ত ও কারাধ্যক্ষকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছি। কারাগারের ভেতরে এ ধরনের ঘটনা গুরুতর। এ ঘটনা গভীরভাবে তদন্ত করে দেখা হবে এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
২০১২ সালে বজরঙ্গি ‘আপনা দল’-এর টিকিটে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। বজরঙ্গির বিরুদ্ধে হত্যা ও চাঁদাবাজির ৪০টি মামলা রয়েছে। ১৯৯৮ সালে দিল্লিতে কথিত বন্দুকযুদ্ধে তাঁকে নয়বার গুলি করার পরও তিনি বেঁচে যান।