বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে মানহানি মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানি জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার (১১ জুলাই ) বিকালে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক আবু সাঈদ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে এই আদেশ দেন।
মামলার বাদী জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান। এবি সিদ্দিকী বলেন, ‘শাহবাগ থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (পরিদর্শক) জাফর আলী গত ৮ জুলাই আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। আজ (বুধবার) বিচারক মামলার প্রতিবেদনটি গ্রহণ করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।’
উল্লেখ্য, খালেদা জিয়া ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগে জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী বাদী হয়ে ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় অংশ নেন খালেদা জিয়া। সেখানে তিনি বলেন, ‘তিনি (বঙ্গবন্ধু) তো বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি, তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। আজকে বলা হয়, এত শহীদ হয়েছে, এ নিয়েও (মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা) অনেক বিতর্ক আছে।’
অন্যদিকে, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে আলোচনা সভায় বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীরা নির্বোধের মতো মারা গেছেন। একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা পাকিস্তানের বেতন-ভাতা খেয়েছেন, তারা নির্বোধের মতো মারা গেলেন? আর আমাদের মতো নির্বোধরা শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে তাদের কবরে ফুল দেই। আবার না গেলে পাপ হয়।’ এসব বক্তব্য দেওয়ার মাধ্যমে তারা দণ্ডবিধির ৫০০ ধারার অপরাধ করেছেন।