আজ ১১ জুলাই বিশিষ্ট আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার ড. এম জহিরের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তিনি ২০১৩ সালের এই দিনে মারা যান।
একাধারে আইনজীবী, শিক্ষক, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও কোম্পানি আইন বিষয়ে বিশেষভাবে দক্ষ ড. এম জহিরের জন্ম ১৯৩৯ সালে কলকাতার ভবানীপুরে। পিতা মুহাম্মদ আসির পাকিস্তান আমলে ঢাকা হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন। ১৯৬০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে বিএ ও এমএ সম্পন্নের পর ১৯৬২ সালে তালিকাভুক্ত হন ঢাকা হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে। ১৯৬৬ সালে পিএইচডি করতে লন্ডনে যান এবং লন্ডন ইউনিভার্সিটি থেকে কোম্পানি আইন বিষয়ে ডক্টরেট হন। এছাড়াও তিনি লন্ডনের লিংকন্স ইন থেকে ব্যারিস্টার হন। ১৯৭৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী হিসেবে যোগ দেন। এর আগে এক বছর ড. জহির অস্ট্রেলিয়ান অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের কাজ করেন। কর্মজীবনে দীর্ঘ ২০ বছর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ে শিক্ষকতাও করেছেন।
কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ না নিয়ে দেশের বিভিন্ন সংকটকালীন সময়ে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে তিনি তাঁর মতামত ব্যক্ত করেছেন। সংবিধানের খুঁটিনাটি নানা বিষয়ে তাঁর ছিল অগাধ পাণ্ডিত্য। বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত ছিলেন এম. জহির। আহসানিয়া মিশনের সাথে তাঁর সম্পৃক্ততা ছিল।
প্রতিভাবান এই আইনজীবী ব্যক্তিজীবনে ছিলেন সংস্কৃতিমনা। গান ছিল তাঁর অবসরের সঙ্গী। চমৎকার পিয়ানো বাজাতেন। টেনিস খেলায়ও পারদর্শী ছিলেন। তাঁর ভাষায়, গিটার আমার প্রথম ভালোবাসা। পৃথিবীর সব কাজ থেকে যখন আমি বিচ্ছিন্ন থাকি তখন গানই আমার প্রাণ হয়ে ওঠে।