ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ একটি ভালো আইন হবে, কালো আইন নয় মন্তব্য করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘এই আইনটি জনবান্ধব ও মিডিয়াবান্ধব আইন হবে। সংসদের আগামী অধিবেশনে আইনটি পাস হতে পারে।’
আজ বুধবার (১১ জুলাই) সচিবালয়ে আইনমন্ত্রীর নিজ দফতরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮-কে অধিকতর জনবান্ধব ও মিডিয়াবান্ধব করতে সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এসব কথা জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
বৈঠকে ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল ও ৭১ টেলিভিশনের সিইও মোজাম্মেল বাবু উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি বর্তমানে সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটিতে আছে। ব্যাপক আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে আইনটিকে জনবান্ধব করতেই দফায় দফায় সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছি। স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকেও সাংবাদিক নেতারা দুবার অংশ নিয়েছেন। আজকের বৈঠকে আইনের অনেক খুঁটিনাটি বিষয়ে সাংবাদিক নেতারা ব্যাখ্যা চেয়েছেন, আমি ব্যাখ্যা দিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাংবাদিক নেতারা অনেক প্রস্তাবনা দিয়েছেন, সেগুলো নিয়ে স্ট্যান্ডিং কমিটিতে বসবো। আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতেই স্ট্যান্ডিং কমিটি আইনটিকে চূড়ান্ত করবে। তবে চূড়ান্তভাবে সংসদে উপস্থাপনের আগে সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে হয়তো আরও একবার বসবো। আপনারা বিশ্বাস রাখুন, বঙ্গবন্ধুর হাতে তৈরি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বা সংবিধানের দেওয়া অধিকার খর্ব করবে, এমন কোনও আইন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাত দিয়ে হবে না।’
মাহফুজ আনাম বলেন, ‘আজকে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। অনেক প্রস্তাবনা পেশ করেছি। আইনমন্ত্রী সেগুলো গ্রহণ করেছেন। সাংবাদিকদের অধিকার খর্ব করে এমন কোনও আইন যেন না হয়, সে বিষয়টি সম্পর্কে আমরা আমাদের প্রস্তাবনা দিয়েছি। উনি সেগুলো গ্রহণ করেছেন। ’
মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেছেন, ‘ব্যাখ্যামূলক আলোচনা করেছি। দেশের স্বার্থে এবং মানুষের স্বার্থে একটি ভালো আইন দরকার। এমন আইন হবে না—যা সংবিধানকে খর্ব করে। ’
মোজাম্মেল বাবু বলেন, ‘এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। চূড়ান্ত হতে একটু সময় লাগবে। সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষার পাশাপাশি অপসাংবাদিকতাও বন্ধ হওয়া দরকার। সেজন্যই একটি ভালো আইন প্রয়োজন। কাজেই প্রকৃত সাংবাদিকদের ভয়ের কোনও কারণ নেই। সংবিধানের অধিকার খর্ব হবে না।’