সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করায় হলমার্কের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামের বিরুদ্ধে তিন বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং এ অর্থ আগামী ৬০ দিনের মধ্যে আদায়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়।
আজ বুধবার (১১ জুলাই) ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার আগে জেসমিনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৩ নভেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে জেসমিন ইসলামকে নোটিশ দেয়। তিনি ২৪ নভেম্বর তিন মাসের সময় বৃদ্ধির আবেদন করেন। পরে সাতদিন সময় বাড়ানো হলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তিনি সম্পদ বিবরণী জমা না দেয়ায় ২ ডিসেম্বর দুদক রমনা মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করে। ২০১৪ সালের ২২ অক্টোর তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
ওই মামলায় ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ জেসমিনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে আগাম জামিন দেন। এতে স্থগিতাদেশ চেয়ে দুদক ২৭ জানুয়ারি চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করে। শুনানি নিয়ে ২৯ জানুয়ারি চেম্বার বিচারপতি বিষয়টি নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। পরে জামিন মঞ্জুর করে দেয়া আদেশ বাতিল করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে নিম্ন আদালতে মামলা চালানোর নির্দেশ দেয়া হয়।
২০১৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি জেসমিনের বিরদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। তিনি সেসময় নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। পরবর্তীতে মামলার সাত সাক্ষীর মধ্যে ছয়জনের সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত আজ এ আদেশ দেন।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, হলমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম জনতা ব্যাংক ভবন কর্পোরেট শাখা থেকে ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে ৮৫ কোটি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।