হিজাব খুলতে অস্বীকৃতি জানানোয় গত বছর আইনজীবী সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে ঢুকতে না দেয়া ছাত্রীর কাছে অবশেষে হার মানলো নাইজেরিয়ার ল’ স্কুল। গতকাল মঙ্গলবার (১১ জুলাই) ওই ছাত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে ডেকে নিয়ে আইনজীবী সনদ দেয়া হয়েছে।
গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানী আবুজার আন্তর্জাতিক সমাবর্তন কেন্দ্রে প্রবেশের জন্য তাকে হিজাব খুলতে বলা হয়। কর্তৃপক্ষের এই নির্দেশ পালনে ফেরদাউস অস্বীকৃতি জানালে তাকে সেখানে ঢুকতে বাধা দেয় কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের অভিযোগ ছিল-আমাসা ‘ড্রেস কোড’ ভঙ্গ করেছে।
অন্যদিকে, ফিরদাউস অভিযোগ করেছিল, এর মাধ্যমে তার অধিকারের লঙ্ঘন করা হয়েছে।
এঘটনায় ল’ স্কুলের বিরুদ্ধে ধর্মীয় বৈষ্যম্যের অভিযোগ আনা হয়। বিশেষ করে এই ইস্যুতে নাইজেরিয়ার পার্লামেন্ট গণশুনানির ডাক দেয়, শেষ পর্যন্ত বিষয়টি আদালত পর্যন্তও গড়ায়।
মঙ্গলবার রাজধানী আবুজায় আয়োজিত অনুষ্ঠিত হিজাব পরেই আইনজীবী সনদ গ্রহণ করেন ব্যারিস্টার ফিরদাউস আমাসা। এতে ১,৫৫০ গ্রাজুয়েট অংশ নেন। এসময় তার হিজাব পরিধানের স্বাধীনতার বিরোধিতা থেকে সরে দাঁড়ানোয় কর্তৃপক্ষের, একই সঙ্গে হিজাবের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তার পাশে থাকায় মুসলিম এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলোর প্রশংসা করেন তিনি।
নাইজেরিয়ার মুসলিম ছাত্র সমাজ এই খবরকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, নাইজেরিয়ান আইন স্কুল এ বিষয়ে ‘যথেষ্ট পরিপক্কতা দেখিয়েছে’।
নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারিও ফিরদাউসকে প্রশংসা করে টুইট করেছেন।
এরআগে নাইজেরিয়ায় উগ্র-রক্ষণশীল বর্তমান ও সাবেক বিচারপতি এবং আইনজীবীদের সংগঠন নাইজেরিয়া’স বডি অব বেঞ্চার (বিওডি) গত মাসে চূড়ান্তভাবে জানায়, এই পোশাক পরেই আইন পেশায় যুক্ত হতে পারবেন ব্যারিস্টার ফিরদাউস আমাসা। যদিও তখন আদালতে মামলা চলছিল। বিওডি আদালতে কারও পক্ষ নেয়নি। সূত্র: বিবিসি