যে কোন সময় স্বামীর যৌন ইচ্ছা মেটাতে বাধ্য নন স্ত্রী, বলছে দিল্লি হাইকোর্ট। ভারতের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি গিতা মিত্তাল ও বিচারপতি সি হরি সংকরের একটি যৌথ বেঞ্চ মঙ্গলবার এ মত দেন।
রায়ে আদালত বলেন, ‘বিয়ের ক্ষেত্রে শারীরিক সম্পর্ককে না বলার অধিকার স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই রয়েছে। বিয়ের মানে এই নয় যে, স্ত্রীকে সব সময় শারীরিক সম্পর্কের জন্য ইচ্ছুক বা প্রস্তুত থাকতে হবে। স্ত্রী একমত হলেই কেবল এটি হতে পারে।’
বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা সংক্রান্ত এক শুনানিতে আদালত এ পর্যবেক্ষণ দেন।
ভারতে বিকৃতমনস্ক ও ব্যভিচারি পুরুষদের হাত থেকে নারীকে রক্ষা করতে এর আগে দিল্লি হাইকোর্ট এক মামলার রায়ে জানিয়েছিল, কোন নারীর সম্মতি ছাড়া তাকে স্পর্শ করা যাবে না। নয় বছরের এক নাবালিকাকে শ্লীলতাহানির মামলায় রায়ে ওই আদেশ দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট৷ আদালত তখন আরও জানিয়েছিল, নারীদের শরীর তাদের নিজস্ব৷ এর উপর শুধু তার অধিকার রয়েছে৷ বাকিদের সেখানে অনুমতি নেই৷ সেই নারীর অনুমতি ছাড়া কেউ তার শরীর স্পর্শ করতে পারে না৷ তা সে যেকোন কারণেই হোক না কেন৷
এদিকে পুরুষ অধিকার নিয়ে কাজ করা এনজিও ম্যান ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট এ ধরনের আইন করার বিরোধিতা করে আসছে। তাদের আইনজীবী বলেন, যৌন সহিংসতা থেকে নারীদের সুরক্ষা প্রচলিত আইনেই রয়েছে। জবাবে আদালত বলেন, ভারতীয় আইনে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কোন ধরনের যৌন সম্পর্কই ধর্ষণ নয়।
আদালত বলেন, ধর্ষণ হিসেবে গণ্য হওয়ার জন্য শক্তি প্রয়োগ প্রয়োজনীয় নয়। বর্তমানে ধর্ষণের সংজ্ঞা সম্পূর্ণ ভিন্ন।