প্রকৃতিক নিয়মের বিরুদ্ধে গিয়ে যৌনসম্পর্ক করার অভিযোগ এনে নিজের স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে দ্রুত বিচারের আবেদন করেছেন এক নারী। চার বছরের সংসার জীবনে ‘জোর’ করে ‘মৌখিক যৌনতায়’ অতিষ্ট হয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন ওই গৃহবধু।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ভারতের গুজরাট হাইকোর্টে পিনাল কোডের ৩৭৭ ধারার একটি মামলা দায়ের করেন ওই নারী। মামলার বিষয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে জোরপুর্বক ওরাল সেক্স ও নিজেদের সংসর্গের ভিডিও ধারণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন তিনি। তার আইনজীবী অপর্ণা ভাট পিটিশনটি দখিল করেন। এর পর আদালতের বিচারপতি এন ভি রামনা এবং এম এম শান্তনাগৌদার এই মামলায় অভিযুক্ত স্বামীকে নোটিশ পাঠিয়েছেন।
ওই নারীর অভিযোগ, ২০১৪ সালে বিয়ের পর থেকেই তার ডাক্তার স্বামী তাকে মৌখিক যৌনতায় জোর করতেন। তিনি এ ব্যাপারে কয়েকবার নিষেধ করার পরও কথা শোনেননি তার স্বামী। এমনকি তাদের শারীরিক সংসর্গ ক্যামেরাবন্দিও করে রাখতেন অভিযুক্ত ডাক্তার।
ওই গৃহবধুর আইনজীবী অপর্ণা ভাট জানিয়েছেন, স্ত্রীর আপত্তির কারণ ঠিকভাবে বুঝতেই পারতেন না স্বামী। প্রকৃতিক নিয়মের বিরুদ্ধে গিয়ে যৌন সম্পর্ক করার পাশাপাশি তাদের যৌন মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দিও করে রাখতেন। আর এতে মহিলা আপত্তি জানালে বা বাধা দিলে স্বামী তার উপর জোর খাটাতেন এবং মহিলা বাধ্য হতেন স্বামীর ইচ্ছানুযায়ী যৌনতায় লিপ্ত হতে।
তবে ওই নারীর করা মামলাটিকে আপ্রাসঙ্গিক বলে খারিজের দাবি জানিয়েছেন তার স্বামী। গুজরাট হাইকোর্ট জানিয়েছেন, ৩৭৫ ধারায় ‘বৈবাহিক ধর্ষণে’র কোনও সংস্থান নেই। তবে ৩৭৭ ধারায় এর বিচার হওয়া উচিত বলে রায় দেন হাইকোর্ট।