খালেদার জামিন আবেদন শুনানি করে আগামী ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে কুমিল্লার সংশ্লিষ্ট আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বাস পুড়িয়ে মানুষ হত্যার অভিযোগে ২০১৫ সালে বিএনপির চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে এই মামলা হয়েছিল।
হাইকোর্টে খালেদার আইনজীবী মামলাটিতে জামিন আবেদন করার পর আজ সোমবার (২৩ জুলাই) বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এসএম মজিবুর রহমান এই আদেশ দেন।
এরআগে এ বিষয়ে গতকাল শুনানি শেষে আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য ছিল।
গতকাল শুনানি শেষে ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান জানিয়েছিলেন, বোমা হামলার ঘটনায় প্রথমে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়। তারপর বিধি পরির্বতন করে সেটি নাশকতার মামলায় রূপান্তর হয়। সেই মামলায় নিম্ন আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল আবেদন করা হয় গত ১৮ জুলাই। একইসঙ্গে, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার এই মামলায় জামিনও চাওয়া হয়।
ওইদিন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল আবেদন করেন।
একে এম এহসানুর রহমান জানান, এ মামলায় গত ১ জুলাই বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন কুমিল্লার একটি আদালত। তবে, সেই আদালতে জামিন চেয়ে করা আবেদন শুনানির জন্য আগামী ৮ আগস্ট শুনানির দিন ঠিক রয়েছে। যেহেতু খালেদার জামিন না দিয়ে এবং আবেদন নিষ্পত্তি না করে শুনানির জন্য পরবর্তী দিন ঠিক করা হয়েছে, সেহেতু বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে আপিল করা হয়।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ বলেন, এ মামলায় গত ১ জুলাই খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার দেখিয়ে জামিনের আবেদনের শুনানির জন্য আগামী ৮ আগস্ট বহাল রাখেন কুমিল্লার আদালত। এরপর খালেদা জিয়া হাইকোর্টে এ মামলায় জামিন আবেদন করেছেন। এ আবেদন রোববারের (কজলিস্টে) কার্যতালিকায় রয়েছে।
উল্লেখ্য কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে হত্যা ও নাশকতার পৃথক দুই মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুলের ওপর গত ১৬ জুলাই আংশিক শুনানি অনুষ্ঠিত হয় এরপর মামলার কার্যক্রম মুলতবি করেন হাইকোর্ট।