বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়ে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ -৯ এর বিচারক মাহমুদুল কবির আজ বুধবার (২৫ জুলাই) খালেদা জিয়া ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের পক্ষে সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।
মওদুদ আহমদ আদালতে উপস্থিত হয়ে এ মামলার কিছু ডকুমেন্ট পেতে আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন। পরবর্তীতে ওই নামঞ্জুরের আদেশের বিরুদ্ধে মওদুদ আহমদ হাইকোর্টে যাবেন জানিয়ে অভিযোগ গঠনের জন্য সময় চান। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন।
এদিকে, মামলার অন্যতম আসামি খালেদা জিয়া অন্য মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে থাকার বিষয়টি আদালতকে অবহিত করে অভিযোগ গঠন পেছানোর সময় চান তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় এ মামলাটি দায়ের করে দুদক। পরবর্তীতে ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় দুদক।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে ‘তুলে দেওয়ার’ মাধ্যমে আসামিরা রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন। আসামিপক্ষ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করলে হাইকোর্ট ওই বছরের ৯ জুলাই এ মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন এবং রুল দেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সাংসদ এম এ এইচ সেলিম এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ। মামলায় আসামি শফিউর রহমান সম্প্রতি মারা গেছেন।