‘পাঠাও’ সার্ভিসের এক নারী যাত্রীকে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে মিজানুর রহমান (৩৩) নামে এক কারচালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ রোববার (২৯ জুলাই) সকালে বন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাহাড়তলী থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) সহকারী কমিশনার আশিকুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ।
গ্রেফতার মিজানুর কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি বেপারীবাড়ী এলাকার মো. ইদ্রিস আলীর ছেলে। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরের বন্দর নিউমুরিং আবাসিক এলাকায় থাকেন।
পাহাড়তলী থানার উপ-পরিদর্শক অর্ণব বড়ুয়া গণমাধ্যমকে জানান, ঘটনার শিকার ২৫ বছর বয়সী ওই নারী যাত্রীর বাসা বন্দরটিলা এলাকায়। তিনি চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস শেষ করে সেখানে ইন্টার্নশিপ করছেন।
তিনি বলেন, সোমবার সেই যাত্রী মিজানুর রহমানের পাঠাও অ্যাপসের মাধ্যমে কার সার্ভিস নেন। সেদিন রাইড শেষে নেমে যাওয়ার সময় মিজানুর রহমান সেই যাত্রীকে বলেন- তার (মিজানুরের) বাসা সেই যাত্রীর বাসার নিকটে। পরবর্তীতে রাইড নিলে যাতে তাকে নেন এবং অ্যাপসের বাইরেও ভাড়ায় গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার অফার দেন।
অর্নব বড়ুয়া বলেন, গত মঙ্গলবার তিনি মেডিকেল কলেজে যাওয়ার জন্য বের হয়ে পাঠাও কল করেন। পরে অ্যাপসে দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা করেও কার পাননি তিনি। পরে মিজানুর রহমানকে কল করেন সেই যাত্রী। মিজানুর রহমান নারী যাত্রীকে তার কারে করে গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য রওনা দেন বন্দরটিলা এলাকা থেকে। কিন্তু বৃষ্টি পড়ায় রাস্তায় জ্যামের অযুহাতে সেই যাত্রীকে মেডিকেলের দিকে না নিয়ে মিজানুর রহমান পাহাড়তলী টোল রোডে নির্জন জায়গায় নিয়ে যান। প্রশ্রাব করতে যাওয়ার কথা বলে গাড়ি থামায় মিজানুর রহমান। গাড়ি থেকে নেমেই পিছনের সিটে ঢুকে যান মিজানুর রহমান। সেই যাত্রীকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।
এসআই অর্ণব বলেন, ধর্ষণের চেষ্টার একপর্যায়ে গাড়ি থেকে বের হতে সক্ষম হন ওই যাত্রী। এক মোটরসাইকেল আরোহী সেই নারী যাত্রীকে চিৎকার করতে দেখে এগিয়ে আসেন। আর তখন গাড়িতে থাকা যাত্রীর মোবাইল ফোন ও ভ্যানিটি ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যান মিজানুর রহমান। ওইদিনই যাত্রী আমাদের কাছে অভিযোগ করেন।
পরে প্রযুক্তির সহায়তায় রোববার ভোরে বন্দর এলাকা থেকে মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
পুলিশ সূত্র জানায়, যাত্রীর অভিযোগটি মামলা হিসেবে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।