‘ন্যাশনাল জাস্টিস অডিট বাংলাদেশ’ এর ওয়েবসাইট যৌথভাবে উদ্বোধন করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রোববার (২৯ জুলাই) বিকেলে ‘ন্যাশনাল জাস্টিস অডিট বাংলাদেশ’ এর ওয়েবসাইট উদ্বোধন করা হয়।
আইন মন্ত্রণালয় এবং জার্মান সহযোগিতা সংস্থা জিআইজেড যৌথভাবে এ ওয়েবসাইট নির্মাণ করে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি বলেন, ২০১৩ সালে জিআইজেড পাঁচটি জেলায় জাস্টিস অডিট সিস্টেম চালু করেছিল। এতে তারা সফলতা পেয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় জাতীয়ভাবে এই পদ্ধতি চালু করা হলো। এর মাধ্যমে বিচারের দীর্ঘসূত্রতার সঠিক কারণ বিশ্নেষণ করে মামলাজট কমানো সম্ভব হবে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ঢাকায় নিযুক্ত জার্মানির উপ-রাষ্ট্রদূত মিকায়েল এসচুলথেইস, যুক্তরাজ্যের উন্নয়ন সংস্থা ডিএফআইডির বাংলাদেশ প্রধান জেন এডমন্ডসন, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক, জিআইজেড-এর রুল অব ল বিভাগের বাংলাদেশ প্রধান প্রমিতা সেনগুপ্ত, যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিস ম্যাপিং সেন্টারের পরিচালক জোসেফ এরিক ক্যাডোরা প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আইন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব উম্মে কুলসুম।
সভাপতির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার গুণগত মানোন্নয়নে এবং বিদ্যমান মামলাজট নিরসনে ন্যাশনাল জাস্টিস অডিট কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। মামলাজটের কারণ সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে সহযোগিতা করবে এবং সরকারি নীতি প্রণয়নে তা সহায়ক হবে।
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জাস্টিস অডিট’ শুধু নীতি প্রণয়ন ও নীতিনির্ধারণেই নয়, বরং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন পরিমাপে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ১৬তম লক্ষ্য- ‘শান্তি, ন্যায়বিচার ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান’ অর্জনে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত প্রদান করবে, যা শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজব্যবস্থা প্রচলন এবং সবার জন্য ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথ সুগম করতে পথনির্দেশক হিসেবে কাজ করবে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের তথ্য-উপাত্তের উপর ভিত্তি করে, ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে জাস্টিস অডিটের মূল কার্যক্রম শুরু হয়।