রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার জাবালে নূর পরিবহনের চার কর্মীর ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) সকালে তাদের ঢাকা মহানগর আদালতে পাঠানো হয়।
ক্যান্টনমেন্ট থানার ওসি কাজী সাহান হক জানান, চার আসামিকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে ঢাকা মহানগর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে সোমবার গভীর রাতে তাদের রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় হস্তান্তর করে র্যাব।
তারা হলো- মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার আব্দুল হালিমের ছেলে ও বাসচালক সোহাগ আলী (৩৫)। সে থাকে মিরপুর ৬ নম্বরে। পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার আব্দুল মান্নানের ছেলে ও বাসচালক জুবায়ের (৩৫)। সে থাকে মিরপুর-১ এ। বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া এলাকার মোবারক হোসেনের ছেলে ও বাসের হেলপার এনায়েত হোসেন (৩৮)। তার বাসা শ্যামলী ২ নম্বর রোডে। বরিশালের মুলাদী উপজেলার কুতুবপুর এলাকার হেলাল সরকারের ছেলে ও বাসের হেলপার রিপন হোসেন (৩২)। তার বাসা মিরপুর শাহআলী থানার দিয়াবাড়িতে।
ক্যান্টনমেন্ট থানা সূত্র জানায়, জাবালে নূর পরিবহনের ঘাতক বাসটির চালক মাসুম বিল্লাহ ছাড়া বাকি চার আসামিকে সোমবার গভীর রাতে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মূল আসামি মাসুম বিল্লাহ’র বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার এসআই রিয়াদ আহমেদ বলেন, তার বিষয়ে পরে জানানো হবে।
রোববার দুপুরে বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাসচাপায় শহীদ রমিজউদ্দীন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী আবদুল করিম ওরফে রাজীব (১৭) ও দিয়া খানম ওরফে মিম (১৬) নিহত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর গণমাধ্যমকে জানান, ঘটনার সময় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থীরা র্যাডিসনের গ্যাপ দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিলো। অনেকে বাসের জন্য ফুটপাতে দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস এলে শিক্ষার্থীরা উঠতে চেষ্টা করে। তখন জাবালে নূর পরিবহনের আরেকটি বাস এসে আগের বাসটিকে বাম পাশে চাপাতে গিয়ে ওই দুই শিক্ষার্থীকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে তাদের মৃত্যু হয় ও আরও ৯ জন আহত হয়।
এই ঘটনার বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে হত্যার অভিযোগে রোববার রাতে নিহত শিক্ষার্থী দিয়া খানমের (মিম) বাবা জাহাঙ্গীর আলম ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা দায়ের করেন।
সোমবার র্যাব সদর দপ্তর থেকে জানানো হয়, জাবালে নূর পরিবহনের ঘাতক বাসটির চালক মাসুম বিল্লাহ, একই কোম্পানির অপর দুই বাসের চালক যুবায়ের ও সোহাগ এবং দুই বাসের চালকের সহকারী এনায়েত ও রিপনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।