সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ থেকে কতজন কর্মী গেছেন, কতজন স্বেচ্ছায় বা সরকারের মাধ্যমে ফিরে এসেছেন, কতজন শারীরিক-যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন, এর তালিকা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি ফরিদ আহমেদ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
এক মাসের মধ্যে প্রবাসীকল্যাণ সচিব, পররাষ্ট্রসচিব, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের চেয়ারম্যান, বায়রার সভাপতি-সেক্রেটারিকে এই প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া কর্মীদের নিরাপত্তা, মানসিক-যৌন হয়রানি, প্রত্যাবাসন-পুনর্বাসনে নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহফুজুর রহমান চলতি মাসের মাঝামাঝি রিটটি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী মাহফুজুর রহমান নিজেই শুনানিতে অংশ নেন।
কাজের জন্য সৌদিসহ অন্যান্য দেশে বাংলাদেশের যেসব নারী কর্মী যাচ্ছেন, তাঁদের নিরাপত্তা, যাঁরা শারীরিক-মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত, যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন, তাঁদের ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসন-প্রত্যাবাসনে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত হবে না, তা রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।
দুই সপ্তাহের মধ্যে পররাষ্ট্রসচিব, প্রবাসী কল্যাণ সচিবসহ ১১ বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে বলে জানান আইনজীবী মাহফুজুর রহমান।