বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছেন তারকারাও। শুধুমাত্র ফেসবুকে নয়, এবার রাস্তায়ও নেমেছেন তারা।
অভিনেতা ও ইউটিউবার তৌসিফ মাহমুদ লিখেছেন, ‘আর চুপ থাকতে না পেরে আজ আমরা সবাই। একসাথে আন্দোলনে স্টুডেন্টদের সাথে উত্তরায় যোগদান করেছি। আমাদের এই আন্দোলন সফল হোক এবং কাল আন্দোলন চল্লে আমরা আবারো নামবো তোমাদের সবার সাথে ইনশাল্লাহ।
বুধবার দুপুরে তৌসিফ মাহবুব ফেসবুকে লেখেন,‘আর চুপ থাকতে পারছি না। শুটিং থেকে পারমিশন নিলাম, দুপুরে নামছি তোমাদের সাথে উত্তরায়। আমার কোনো সহকর্মী ভাই-বোনেরা নামতে চাইলে খুশি হবো।’
এর কিছুক্ষণ পরই পাওয়া যায় পরিচালক সকাল আহমেদের স্ট্যাটাস,
‘শুটিং বন্ধ রেখে আমি আমার শুটিং ইউনিট নিয়ে বের হচ্ছি। আপনারা পারলে চলে আসেন।’
অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মম বলেন, ‘তার মানে ইহা সম্ভব… সবাই সুন্দর সুশৃঙ্খল… বাংলাদেশ অসম্ভবের দেশ না…তাহলে,আপনিও পারেন এই কাজ আমিও…. আসুন স্বনির্ভর হই….কাজে….কথায় না…. পেশা যাই হোক না কেন দেশ সবার….।
অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা ছাত্রদের বিক্ষোভের কয়েকটি ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘সাবাস বাংলাদেশ। জ্বলে পুড়ে ছারখার, তবু মাথা নোয়াবার নয়!’
অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী লিখেছেন, ‘হোক প্রতিবাদ। বিচার চাই।’
অভিনেত্রী শাহানাজ খুশি লিখেছেন, ‘দয়া করে বাচ্চাদের গায়ে হাত দেবেন না। তারা কোন আসনের নমিনেশন পাবার জন্য পথে নামে নাই, তাদের দাবি পথের নিরাপত্তা কেবল। এই দেশের পরবর্তী কর্ণধার এই বাচ্চারাই। এখনো অনেক বাচ্চা হসপিটালে, জখম গুরুতর। বাচ্চাদের মাথায় লাঠির আঘাত নয়, ভরসার আর ভালোবাসার হাত রাখুন। মা-বাবাদের পথে নামতে বাধ্য করবেন না দয়া করে। ওরা আমাদের সন্তান। নাড়ি ছেঁড়া ধন! জারজ নয়!’
মেহের আফরোজ শাওন বলেন, ‘ওরা কিন্তু রাজনীতি বোঝে না, রাজনীতি করতে পথে নামেনি। কিন্তু রাজনীতির প্রতি, রাজনীতিবিদদের প্রতি কী পরিমাণ ঘৃণা জন্মে যাবে তাদের মনে, ভেবে দেখছেন! এই ছেলেরাই আগামী ২/১ বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে, হয়তো ছাত্র রাজনীতিও করবে। আজকের এই ঘৃণা ওদের ছাত্রলীগের রাজনীতি করতে দেবে? প্রধানমন্ত্রী, তিনি তো কোমল হৃদয়ের মানুষ, সারা জীবন সেভাবেই দেখে এসেছি তাকে। আজ কেন তার কোমলতা দেখাতে দেরি করছেন? তার সম্বন্ধে এই বাচ্চাগুলোর ধারণা কোন দিকে যাচ্ছে!’
পরিচালক মাবরুর রশিদ বান্নাহ বলেছেন, ‘আজ না হয় শহরের স্কুল-কলেজের ছাত্রগুলো রাস্তায় নেমেছে, এতেই এই অবস্থা! কাল যদি সারা বাংলাদেশের স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েরা রাস্তায় নামে, তখন কেমন হবে!’
অভিনয়শিল্পী জ্যোতিকা জ্যোতি বলেছেন, ‘আর ঘরে বসে থাকা যায় না, আমার মন উত্তাল তোমাদের সঙ্গে। আপনি আছেন তো?’
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সহমত প্রকাশ করে রাজপথে আরও ছিলেন নওশীন নাহরিন মৌ, জাকিয়া বারী মম, নাদিয়া আহমেদ, নাজিয়া হক অর্ষা, নাবিলাসহ অনেকেই। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত উত্তরার রাস্তায় ছিলেন তারা।