রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও নাশকতার অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা ১১ মামলার শুনানি পিছিয়েছে।
আজ রোববার (৫ আগস্ট) বকশীবাজারের অস্থায়ী আদালতে মামলাগুলোর শুনানি হওয়ার কথা ছিলো।
কিন্তু খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া ও জিয়াউদ্দিন জিয়ার আবেদনের পর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েস শুনানি পিছিয়ে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন।
২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত রাজধানীর দারুস সালাম থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা ৮ মামলা ও যাত্রবাড়ী থানার দুই মামলা এবং ২০১৬ সালের ২৫ জানুয়ারি ঢাকার সিএমএম আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী।
গতবছরের ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে’ খালেদা জিয়া বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে। আজকে বলা হয়, এতো লাখ লোক শহীদ হয়েছে। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে খালেদা জিয়া দাবি করেন, ‘তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না।’
এরপর ২৩ ডিসেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বক্তব্যে ‘দেশদ্রোহী’ মনোভাব পাওয়া যাচ্ছে অভিযোগ করে তা প্রত্যাহার করতে উকিল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ড. মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী।
নোটিশের জবাব না পাওয়ায় তিনি এ মামলাটি করেছিলেন। ২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি রাতে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় গ্লোরি পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসে পেট্রলবোমা হামলা হয়। এতে বাসের ২৯ যাত্রী দগ্ধ হন। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ১ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় নূর আলম (৬০) নামের এক যাত্রী মারা যান।
ওই ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কে এম নূরুজ্জামান।
এছাড়া ২০১৫ সালে দারুস সালাম থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে আটটি মামলা করা হয়। এই আট মামলায়ও আসামি করা হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে।