জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার তেলিহার গ্রামে ধর্ষণের অভিযোগে ৮ বছরের শিশু জনিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার (৬ আগস্ট) জনিকে আদালতে পাঠানো হয়। জনি ওই গ্রামের দিনমজুর আব্দুর রশিদের ছেলে। সে তেলিহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র।
এর আগে, রোববার (৫ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এরপর নির্যাতিত শিশুটির বাবা বাদী হয়ে কালাই থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এ দিন রাতেই মামলায় অভিযুক্ত জনিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলার এজাহারে জানা যায়, রোববার বিকেল ৩টায় জনি বিস্কুট খাওয়ানোর কথা বলে তাদের বাড়ির পাশের পুকুর পাড়ে নিয়ে ওই মেয়েকে ধর্ষণ করে। পরে শিশুটির রক্তক্ষরণ হলে তার মা তাকে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা. নাহিদ সুলতানা গণমাধ্যমকে জানান, ভর্তির রাতে শিশুটির প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে।
এদিকে, তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া নাবালক ছেলে কীভাবে ধর্ষণ করতে পারে এ নিয়ে কালাইয়ে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। স্থানীয়রা কোনোভাবেই এ অভিযোগ মেনে নিতে পারছেন না।
জনির বাবা আব্দুর রশিদ গণমাধ্যমকে বলেন, কিছুদিন আগে মাঠের জমি নিয়ে অভিযোগকারী পরিবারের সঙ্গে মারপিটের ঘটনা ঘটে। সে সময় উভয় পরিবারের সদস্যই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। বিষয়টি মীমাংসা না হতেই এ রকম একটি মিথ্যা মামলা আমার ছেলের নামে দায়ের করেছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
জনির বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ ফরিদ উদ্দীন আখতার গণমাধ্যমকে বলেন, রোববার বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত জনি আমার বিদ্যালয়েই ছিল। অথচ মামলায় বলা হয়েছে বিকেল ৩টায় তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এখানে কোনো ষড়যন্ত্র কাজ করছে।
কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ খাঁন গণমাধ্যমকে জানান, বাদী যেহেতু ওই ছেলেকেই চিহ্নিত করে অভিযোগ দিয়েছে, সেহেতু আমরা মামলা নিয়েছি। সেই মোতাবেক রোববার রাতেই অভিযুক্ত শিশুকে গ্রেফতার করেছি। বাংলানিউজ