জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার যুক্তিতর্ক শুনানি পিছিয়ে ৫ সেপ্টেম্বর নতুন করে দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত। একইসঙ্গে খালেদার জামিনও ওইদিন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৭ আগস্ট) রাজধানীর বকশীবাজারে অবস্থিত ঢাকার ৫ নং বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক শেখ নাজনুল আলম এ জামিন মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে মামলাটির যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ওই একই দিন ধার্য করেন আদালত।
জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি খালেদার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেজবাহ ও জিয়া উদ্দিন জিয়া গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, নিয়মিত বিচারক ছুটিতে থাকায় বকশি বাজারের অস্থায়ী আদালতে মামলার শুনানি হয়নি। ভারপ্রাপ্ত জজ তার এজলাসেই নতুন দিন ধার্য করেন।
মামলাটির যুক্তি উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে কারাগার থেকে খালেদা জিয়াকে হাজির না করে কাস্টডি ওয়ারেন্ট পাঠান কারা কর্তৃপক্ষ। কাস্টডিতে লেখা হয়, ‘খালেদা আজ শারীরিকভাবে অসুস্থ। তাই তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি।’ অপরদিকে খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আইনজীবীরা তার জামিন বৃদ্ধির আবেদন করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
উল্লেখ্য, দুদকের দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসানকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। একই মামলায় অন্য আসামি খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
রায়ের পর খালেদা জিয়াকে রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে। এ মামলায় তার জামিন হলেও অন্য মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি থাকায় তিনি জামিনে মুক্ত হতে পারছেন না।