সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে মামলায় শেরপুর সদর থানার কামারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. নূরে আলম সিদ্দিকীর এক বছর কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে তাকে আরও তিন মাস কারাদণ্ডের নির্দেশও দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার ৭ নম্বর বিশেষ জজ শহিদুল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম এবং আসামির পক্ষে ছিলেন একেএম হাবিবুর রহমান চুন্নু।
রায়ের পর আসামিপক্ষ উচ্চ আদালতে আপিলের শর্তে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে ইউপি চেয়ারম্যান মো. নূরে আলমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, নূরে আলম সিদ্দিকী নিজের, স্ত্রীর ও তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের নামে অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন মর্মে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রাথমিক অনুসদ্ধানে প্রমাণিত হয়। পরে ২০১৪ সালের ২৬ নভেম্বর দুদক তাকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ দেয়। একই বছর ২৩ ডিসেম্বর নোটিশ গ্রহণ করেন নূরে আলম সিদ্দিকী। পরের বছর ৫ জানুয়ারি সাত কার্যদিবস সময় বৃদ্ধির আবেদন করলে তা মঞ্জুর হয়। এর পরেরর সাত দিন পার হওয়ার পর তিনি সম্পদ বিবরণী দাখিল করেননি। এর পরিপ্রেক্ষতে দুদকের উপপরিচালক সৈয়দ তাহসিনুল হক ২০১৫ সালের ৮ মার্চ রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
দুদকের সহকারী পরিচালক রাম প্রসাদ মণ্ডল মামলাটি তদন্ত করে ২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। গত বছরের ২৩ এপ্রিল আদালত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলাটির বিচারকাজ চলাকালে তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।