যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহা। গতকাল শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ওয়াশিংটন প্রেসক্লাবে তার লেখা বই ‘ব্রোকেন ড্রিম : রুল অব ল, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্র্যাসি’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিনহা এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান এখানে আমার কোনো স্ট্যাটাস নেই। আমার ভিসার মেয়াদ প্রায় শেষ। আমি কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানিয়েছি। রাজনৈতিক আশ্রয়ের প্রার্থনা জানিয়েছি, কিন্তু এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
সিনহা জানান, ‘লন্ডনের হাউস অব কমন্স, জেনেভা এবং ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন থেকেও দাওয়াত পেয়েছি। কিন্তু সিদ্ধান্ত না হওয়ার কারণে সেখানে যেতে পারছি না। আমি নিরাপদ বোধ করছি না। আমি ভীত থাকি, ২৪ ঘণ্টা বাসাতেই থাকি। গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা আমার বাসা সব সময় মনিটরিং করে এবং যারা আমার বাসায় যায় তাদের ছবি তোলা হয়।’
বই প্রকাশে দেশের নির্বাচনের আগের সময়কে বেছে নেয়ার এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বই প্রকাশে প্রস্তুতি নিতে সময় লেগেছে। সবকিছুর ব্যবস্থা করে লিখতে শুরু করেছি।’
বই প্রকাশে অর্থের জোগান সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা অ্যামাজন প্রকাশ করেছে।’
বাংলাদেশে তিনি ফেরত আসবেন কিনা? এমন এক প্রশ্নের জবাবে সিনহা বলেন, ‘আমি যখন দেশ ত্যাগ করেছিলাম, বিভিন্ন মিডিয়ায় এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে- আপনি খুঁজলেই পাবেন। আমি সম্পূর্ণভাবে চলে এসেছি। বাংলাদেশের আমার জীবনের কী নিশ্চিয়তা আছে?’
বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি জানান, বইটি তিনি নিজে লিখেছেন, নিজেই আবার সম্পাদনা করেছেন। ৮০০ পৃষ্ঠার বইয়ে প্রধান বিচারপতি হিসেবে কেবল নিজের শেষ দিনগুলোর বর্ণনা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় এবং কিছু পর্যবেক্ষণ নিয়ে ক্ষমতাসীনদের তীব্র সমালোচনার মুখে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা ৩৯ দিনের ছুটিতে অস্ট্রেলিয়ায় যান ২০১৭ সালের ৩ অক্টোবর। পরে সেখান থেকে তিনি পদত্যাগ করেন।