টাঙ্গাইলের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিযুক্ত ইংরেজি বিষয়ের সহকারী সেই শিক্ষক সাঈদুর রহমান বাবুলকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ সোমবার (১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিদ্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার রহমান গণমাধ্যমকে জানান, বিদ্যালয়ের তিনজন ছাত্রী সাঈদুর রহমান বাবুলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করে। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওই শিক্ষককে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই ক্লাসের ছাত্রীদের অশালীন মন্তব্য ও কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন শিক্ষক সাঈদুর রহমান বাবুল। রোববারও (৩০ সেপ্টেম্বর) নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে কু-প্রস্তাব দেন। ওই দিনই সব ছাত্রীরা প্রধান শিক্ষককে বিষয়টি জানায়। কিন্তু প্রধান শিক্ষক মামুন তালুকদার অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো ছাত্রীদের স্কুল থেকে বের করে দেয়ার ভয় দেখিয়ে স্বাক্ষর নেন।
স্কুল ছুটির পর বিষয়টি ছাত্রীরা তাদের অভিভাবকদের জানালে সোমবার সকালে অফিস কক্ষে বিদ্যালয়ের সহকারী ইংরেজি শিক্ষক সাঈদুর রহমান বাবুলকে অবরুদ্ধ করে রাখে। অবস্থা বেগতিক দেখে সাঈদুর কৌশলে পালানোর চেষ্টা করেন। পরে বিদ্যালয়ের ছাত্রী ও অভিভাবকরা সাঈদুরকে ধরে বেদম পিটুনি দেয়। এতে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সাঈদুর রহমান বাবুল কালিহাতী উপজেলার পারখী গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে।