সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার বিরুদ্ধে করা ঘুষ দাবির মামলা তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পৌঁছেছে। এ জন্য পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করেছে সংস্থাটি। আজ বুধবার বিকেলে কমিশন এ নিয়োগ দেয়।
দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সংস্থার মহাপরিচালক খান মো. নূরুল আমিনকে তদন্ত তদারককারী কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর আগে দুপুরে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান, শাহবাগ থানায় দায়ের হওয়া মামলাটি তদন্তের জন্য আদালতের মাধ্যমে দুদকে এসেছে।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন বিএনপির সাবেক নেতা ও মন্ত্রী নাজমুল হুদা। বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট অ্যালায়েন্সের (বিএনএ) সভাপতি নাজমুল হুদা মামলার এজাহারে ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ করেন এস কে সিনহার বিরুদ্ধে।
এদিকে, মামলার নানা প্রসঙ্গে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন দুদকের চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা যদি মনে করেন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন, তাহলে তাঁকে যথারীতি জিজ্ঞাসাবাদ করবে। সেটা কীভাবে হবে, তা তদন্ত কর্মকর্তা নির্ধারণ করবেন। তবে জিজ্ঞাসাবাদ করা ম্যান্ডেটরি (বাধ্যতামূলক) না।
সাবেক প্রধান বিচারপতিকে দেশে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করার সুযোগ আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের আইনে সব ব্যবস্থা রয়েছে। আনার প্রক্রিয়া নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশনে আছে। তবে এটা অনেক পরের বিষয়।’
ফারমার্স ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে এস কে সিনহার ব্যাংক হিসাবে চার কোটি টাকা জমাসংক্রান্ত অনুসন্ধান শেষ পর্যায় বলে জানান দুদক চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, এতে যে-ই জড়িত থাকুক না কেন, আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার ভাই অনন্ত কুমার সিনহা নাগরিক না হয়ে মাত্র ২ বছরে কীভাবে আমেরিকায় বাড়ি কিনলেন, সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে দুদক।’