যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করায় স্কুলেই গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছে অন্তত ৩৪ জন ছাত্রী। এদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি আছে ১২-১৬ জন। আহতদের সবার বয়স ১০ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে।
ভারতের বিহার রাজ্যের সুপৌল জেলার একটি গার্লস স্কুলে শনিবার (৬ অক্টোবর) এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, স্কুলের মধ্যেই খেলছিল ছাত্রীরা। এ সময় পাশ্ববর্তী গ্রামের কয়েকজন যুবক ও মিডল স্কুলের কয়েকজন ছাত্র পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রীদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করে এবং কয়েকজনের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। এর প্রতিবাদে ছাত্রীরা তাদের মারধর করে স্কুল থেকে বের করে দেয়। এর কয়েক ঘণ্টা পর বিকেল পাঁচটার দিকে ছেলেরা গ্রামবাসী, তাদের অভিভাবক ও আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে স্কুলে হাজির হয় এবং ছাত্রীদের মারধর করে। এ সময় অন্তত ৩৪ জন ছাত্রী শারীরিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হন।
হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, আক্রমণকারীদের কয়েকজনের হাতে লাঠি দেখা গেছে। ছাত্রীদের রক্ষায় কয়েকজন শিক্ষক ছুটে আসলে তাদেরকেও মারপিট করে বিক্ষুব্ধ জনতা।
স্থানীয়রা বলেছেন, উচ্ছৃঙ্খল জনতা স্কুলের মধ্যে ঢুকে পড়লে ছাত্রীদের মধ্যে আত্ঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে তাদের রক্ষায় কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এমনকি তাদেরকে রক্ষায় কোনো গার্ডও এগিয়ে আসেননি।
পুলিশের কাছে একটি অভিযোগে স্কুলের অধ্যক্ষ বলেছেন, তাদেরকে শান্ত হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলেও তারা কথা শোনেনি। তারা ছাত্রী-শিক্ষকদের মারধর করতে থাকে।
এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বৈদ্যনাথ যাদব। তিনি বলেন, ‘যারা এ ধরনের কর্মকাণ্ড করেছে, তাদেরকে কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না।