ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ:
বিচারপতি সিনহা তাঁর “এ ব্রোকেন ড্রিম” বইটিতে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পক্ষে নতুন করে যুক্তি উপস্থাপনের চেষ্টা করেছেন। তিনি নানাভাবে যুক্তি তুলে ধরেছেন যে সংসদ নয়, বরং বিচারপতিদের সমন্বয়ে গঠিত ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল’-ই হচ্ছে অদক্ষ, অপেশাদার ও সংবিধান লঙ্ঘনকারী বিচারপতিকে শাসনের বা অপসারণের যুৎসই ফোরাম। “এ ব্রোকেন ড্রিম” বইটির সূচনা অধ্যায়ে বিচারপতি সিনহা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের উপকারিতা সম্পর্কে লিখেছেন:
“… the process was meant to protect the judiciary from being subjected to political vagaries and serving political leaders than the citizens.”
অর্থাৎ বিচারপতি সিনহার মতে ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল’ বিচার বিভাগকে রাজনীতিকরণের হাত থেকে রক্ষা করে। একই সাথে তিনি দাবি করেছেন যে, ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল’ থাকলে বিচার বিভাগ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সেবায় নিয়োজিত না হয়ে বরং দেশের নাগরিকদের সেবা দানে সচেষ্ট হয়ে উঠবে। সহজভাবে বলতে গেলে বিচারপতি সিনহা মনে করেন, বিচারপতিদের শাসন করার এখতিয়ার শুধু বিচারপতিদেরই রয়েছে, অন্য কারো নয়।
১৯৭৯ সাল থেকে ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল’–এর সাফল্যের ইতিহাস বর্ননা করতে গিয়ে ২০১৮তে প্রকাশিত “এ ব্রোকেন ড্রিম” বইটির অধ্যায় ২৭-এ বিচারপতি সিনহা লিখেছেন:
“Under this system … one judge was removed on the recommendation of the Supreme Judicial Council. So, the system was implemented, and it
yielded good result.”
অর্থাৎ বিচারপতি সিনহা দাবি করছেন যে গত প্রায় ৪০ বছর সময়ে ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল’ যেহেতু এক জন বিচারপতিকে অপসারণ করেছে সেহেতু ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল’ বিচারপতি শাসনে প্রকৃত অর্থে খুবই কার্যকর একটি প্রতিষ্ঠান! আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না, ৪০ বছর সময়ে ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল’ মাত্র একজন বিচারপতিকে অপসারণে সক্ষম হওয়াতে সেটিকে কেমন করে কার্যকর একটি প্রতিষ্ঠান বলে দাবি করা যেতে পারে? তাহলে কি আমরা ধরে নেব যে আমাদের ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় বিচার বিভাগে কখনই কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি? আর তা-ই যদি হয়ে থাকে তাহলে ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল’-এর অথবা বিচারপতি অপসারণ প্রক্রিয়ার আদৌ কি কোনো প্রয়োজন আছে?
২.
কিন্তু ইতিহাস তো ভিন্ন কথা বলে। একাধিকবার আমরা দেখেছি যে কোনো কোনো বিচারপতি আমাদের সংবিধান লঙ্ঘন করে গেছেন নির্দ্বিধায়। কিন্তু বিচার বিভাগ তার বিচার করেনি। কেন? কাকের মাংস কাক খায় না বলেই? ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত পূর্ব পাকিস্তান ভূখণ্ডকে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র হিসেবে স্বাধীন বলে ঘোষণা করেন। এই স্বাধীনতার জন্য একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে বাংলাদেশকে। ৩০ লক্ষ মানুষকে প্রাণ হারাতে হয়েছে। ৫ লক্ষ মা- বোন হয়েছেন ধর্ষিতা। লক্ষ লক্ষ মানুষ নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এক কোটির বেশি মানুষ বাধ্য হয়েছেন উদ্বাস্তু হিসেবে অনিশ্চিত জীবন বেছে নিতে। তাদের একমাত্র চাওয়া ছিল স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছি। সুতরাং আমাদের স্বাধীনতা অনেক দাম দিয়ে কেনা। আমাদের সংবিধান শহীদের রক্তস্নাত–বীরাঙ্গনা মায়ের গুমরে-ওঠা কান্না আর নির্যাতনের ফল। ছেচল্লিশ বছর পর সময় এসেছে প্রশ্ন তুলবার, যারা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল তারা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের রাজনীতি বা প্রশাসনে কোনো ভূমিকা পালন করতে পারবে কি না। উত্তর নিঃসন্দেহে, ‘না’। স্বাধীনতাবিরোধী রাজনৈতিক মতাদর্শ বাংলাদেশ রাষ্ট্রে ক্ষতিকর প্রজন্ম তৈরি করবে, জাতির ভেতরে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে। আর প্রশাসনে যদি স্বাধীনতাবিরোধীরা বসে থাকে তবে রাষ্ট্রের উন্নয়নে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে বাধ্য। এই অমোঘ সত্যটি যদি আমরা সকলে মেনে নিই এবং দৃঢ়চিত্তে বিশ্বাস করি, তবে আমার প্রশ্ন হল, আমাদের রাষ্ট্রের বিচার ব্যবস্থায় কি স্বাধীনতাবিরোধী ব্যক্তিবর্গ বিচারকের দায়িত্ব পালন করতে পারেন? আর যদি কখনও করে থাকেন তবে তার দায়ভার কি বিচার বিভাগ নেবে? অথবা কখনও কি তা নিয়েছে? ১৯৭২ সালের বাংলাদেশের আদি সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ অদক্ষতা, অযোগ্যতা বা পেশাগত অসদাচারণের কারণে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের শাসন বা অপসারণ করার ক্ষমতা রাখতো। ১৯৭৫ সালের চতুর্থ সংশোধনী বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের এই ক্ষমতার বিলোপ ঘটায় এবং এর পরিবর্তে মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা প্রদান করে। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যা করার পর আমাদের ইতিহাস উল্টো পথে হাঁটা শুরু করলো।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ৭ নভেম্বর। ১৫ আগস্টে জাতির পিতা এবং ৩ নভেম্বরে কারাগারে আটক চার জাতীয় নেতাকে হত্যার পর দেশ সাংবিধানিক সংকটে নিপতিত হলে আমাদের তৎকালীন সুপ্রিম কোর্ট এবং এর বিচারপতিবৃন্দ সংবিধান রক্ষা এবং এর নিরাপত্তা বিধান করতে ব্যর্থ হন। সে সময় সুপ্রিম কোর্ট অবৈধ ক্ষমতা দখলদারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও ব্যর্থ হয়। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার বিভাগ কি সেই সময় এই ব্যর্থতার দায়ভার গ্রহণ করেছিলেন?
৩.
১৯৭৫ সালের ৬ নভেম্বর। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম অবৈধভাবে রাষ্ট্রপতির পদ দখল করেন এবং জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দেন। যেখানে বিচারপতিগণ সংবিধান ও আইনের রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তা বিধান করবেন বলে শপথ গ্রহণ করেন, সেখানে আমরা দেখলাম তৎকালীন প্রধান বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম সংবিধান ও আইনের চরম লঙ্ঘন করে অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রপতির পদ দখল করলেন। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার বিভাগ সেদিন কীভাবে এই অবৈধ পদ দখলের বিষয়টির মূল্যায়ন করেছিলেন? ১৯৭৮ সালে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা ক্ষুন্ন করে বাংলাদেশে মার্শাল ল’ জারী করা হয় এবং বিচারপতি শাসনে বা অপসারণে ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল’ গঠনের কথা উল্লেখ করা হয়। এরপর সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল’কে সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কিন্তু এরপরও আমরা দেখেছি বিচার বিভাগ কর্তৃক সংবিধান লঙ্ঘন। অথচ ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল’কে সোচ্চার হতে দেখিনি কখনও। সময় ১৯৭৮ সাল। হালিমা খাতুন বনাম বাংলাদেশ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি ফজলে মুনিম সংবিধানকে সামরিক ফরমানের নিচে স্থান দেন। তিনি বলেন:
“No constitutional Provision can claim to be sacrosanct and immutable, the present Constitutional provision may, however, claim superiority to any law other than a regulation or orders made under the proclamation.”
অর্থাৎ তাঁর মতে, “বাংলাদেশের সংবিধানের কোনো অংশই অলঙ্ঘনীয় বা অপরিবর্তনীয় নয়; সংবিধান যে কোনো আইনের উর্ধ্বে হলেও, সামরিক ফরমানের উর্ধ্বে নয়।” এই যে সাংবিধানিক প্রাধান্য হেয় করে অসাংবিধানিক সামরিক ফরমানকে সকল আইনের উর্ধ্বে স্থান দেওয়া হল, সে ব্যপারে আমাদের ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল’ তথা স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার বিভাগ সেদিন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল কি? সঠিক প্রতিক্রিয়া পেতে আমাদের সপ্তম সংশোধনী বাতিল মামলা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে, অর্থাৎ ত্রিশ বছরেরও বেশি সময় প্রতীক্ষা করতে হয়েছে। ১৯৮০ সাল। রাষ্ট্র বনাম হাজী জয়নাল আবেদীন মামলায় আপিল বিভাগের তৎকালীন বিচারপতি রুহুল ইসলামও সংবিধানকে সামরিক ফরমানের নিচে স্থান দেন। তিনি বলেন:
“I find it difficult to accept …. that the Constitution as such still in force as the supreme law of the country, untrammeled by the Proclamation and Martial Law
Regulation.”
অর্থাৎ তাঁর মতে, “সামরিক ফরমান ও সামরিক আইনের বিধি-বিধান সাপেক্ষে আমাদের সংবিধান কখনও রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন বলে গণ্য হতে পারে না।” আমাদের ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল’ তথা স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা কেন সেদিন সংবিধানের পবিত্রতা রক্ষায় সরব হল না?
৪.
আবারও ত্রিশ বছরের বেশি সময় অপেক্ষা করতে হলো আমাদের সপ্তম সংশোধনী বাতিল মামলার রায়ের জন্য। ১৯৮০ সালের আরেকটি রায়। নাসিরুদ্দিন বনাম বাংলাদেশ মামলায় তৎকালীন প্রধান বিচারপতি কামালউদ্দিন হোসেন এই মর্মে সিদ্ধান্ত দেন যে, সামরিক আদালতের সিদ্ধান্ত সংবিধানের আইনের উর্ধ্বে। সেদিনও ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল’ তথা স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছিল। আর সত্য কথাটি উচ্চারিত হতে আবারও জাতিকে তিন দশকের বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে সপ্তম সংশোধনী মামলার রায়ের জন্য। এবার ১৯৮৯ সাল। আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বনাম বাংলাদেশ মামলায় তদানীন্তন প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ বলেন যে, ১৯৭৫ পরবর্তী সকল অসাংবিধানিক কর্মকাণ্ড মূলত আমাদের সাংবিধানিক ইতিহাসেরই একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত আমাদের সংবিধান লঙ্ঘন তেমন কোনো বিষয় নয়। কী অদ্ভুত অবস্থান! এখানেও সেদিন নিশ্চুপ আমাদের ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল’ তথা স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার বিভাগ। প্রায় বিশ বছর পর সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক সপ্তম সংশোধনী বাতিল মামলায় বলেন:
“The constitution is the supreme law and it’s any violation is void and illegal and
remains so for all time to come.”
অর্থাৎ, “সংবিধানই হচ্ছে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন এবং এর লঙ্ঘন যে কোনো সময় বাতিল এবং অবৈধ বলে গণ্য হবে।”
এই যে বিচার বিভাগ কর্তৃক সংবিধান লঙ্ঘনের নির্লজ্জ যাত্রা – একে রোধ করতে ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল’ কখনও কি কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে? তাহলে বিচারপতি সিনহা তাঁর লেখা “এ ব্রোকেন ড্রিম” বইটিতে ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল’-এর গুনগান অব্যাহত রেখেছেন কেন? যে ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল’ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষায় সচেতন না, যে ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল’ বাংলাদেশের সংবিধানের প্রাধান্য রক্ষায় সচেষ্ট না তাকে কেন টিকিয়ে রাখতে হবে? আমাদের সংবিধান মুক্তিযুদ্ধের বিনিময়ে অর্জিত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই আমাদের সংবিধানের আধার। পরাধীনতার বেড়াজাল ছিঁড়ে স্বাধীনতা অর্জন করে এই সংবিধান আমরা নিজেরাই নিজেদের উপহার দিয়েছি। সুতরাং আমাদের মাঝে যে বা যারা সংবিধান লঙ্ঘন করবে, তাকে বা তাদেরকে আমরা নিঃসন্দেহে স্বাধীনতাবিরোধী বলে চিহ্নিত করতে পারি।
কিন্তু সংবিধান লঙ্ঘনের ব্যাপারটি যখন খোদ বিচার বিভাগ করে থাকে, তখন আমাদের প্রতিকার কী হবে? আমরা কি বিশ কী ত্রিশ বছর অপেক্ষা করব কোনো এক মাহেন্দ্রক্ষণের জন্য যখন কোনো এক পরবর্তী মামলায় বিচার বিভাগ কর্তৃক অতীতের সাংবিধানিক লঙ্ঘনের বিষয়ে ধিক্কার জানিয়ে!
৫.
সর্বোচ্চ আদালত প্রদত্ত কোনো রায়ে তা উল্লিখিত হবে? নাকি আমরা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে বিচার ব্যবস্থার সাংবিধানিক লঙ্ঘনের তাৎপর্যপূর্ণ প্রতিকার খুঁজে পাব? সবচাইতে বড় কথা, আমাদের বিচারিক ব্যবস্থায় যদি স্বাধীনতাবিরোধী নিউক্লিয়াস দানা বেঁধে উঠতে থাকে, তবে তার নির্মূলের দায়িত্ব কে পালন করবেন? অসাংবিধানিক উপায়ে গঠনকৃত ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল’, নাকি সাংবিধানিকভাবে গণতান্ত্রিক ম্যান্ডেন্টের অধিকারী আমাদের সংসদ? আফসোস! বিচারপতি সিনহার লেখা “এ ব্রোকেন ড্রিম” বইটির কোথাও আমি এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাইনি!
লেখক: বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও আইনের শিক্ষক