আদালতের সঙ্গে গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই ও সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে কথা বলায় পাকিস্তানের সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের সুপারিশে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বিচারক শওকত আজিজ সিদ্দিকীকে অপসারণ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডা. আরিফ আলভি। শওকত আজীজ সিদ্দিকী আগামী ১৭ অক্টোবর ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেওয়ার কথা ছিল।
বিচার প্রক্রিয়ায় গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের হস্তক্ষেপের অভিযোগ তোলার পর সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল তাকে সরিয়ে দেয়ার সুপারিশ করেছিল। এর আগে তার বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির কাছে অভিযোগ করেছিল সেনাবাহিনী। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতেই সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল এ সিদ্ধান্ত নেয়।
দেশটির আইনমন্ত্রী ফারোগ নাসিম বলেন, এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইমলামাবাদ হাইকোর্ট থেকে বিচারক শওকত আজিজ সিদ্দিকীকে অপসারণে অনুমোদন দিয়েছেন। কাজেই দ্রুত এ আদেশ কার্যকর করা হবে।
২১ জুলাই রাওয়ালপিন্ডি বারে বিচারপতি সিদ্দিকীর বিতর্কিত বক্তব্যকে কেন্দ্র করে কাউন্সিল তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রনয়ণ করে। সে সময় তিনি অভিযোগ করেন, আসন্ন নির্বাচনের সময়ে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ও তার মেয়েকে কারাগারে রাখতে আইএসআই ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মুহাম্মদ আনোয়ার খান কাসির কাছে হাজির হয়েছিলেন। প্রধান বিচারপতির কাছে গিয়ে ওই সংস্থা বলেছে, তারা চায় না নওয়াজ শরিফ ও তার মেয়ে নির্বাচনের আগ পর্যন্ত বাইরে আসুক। এ কারণেই তাকে নওয়াজের আপিল শুনানির বেঞ্চে যুক্ত না করার পরামর্শ দেওয়া হয় বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
শওকত আজিজ বলেন, আজকের যুগে বিচারিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করতে পুরোপুরিভাবে জড়িত আইএসআই। তাদের কর্মীরা নিজেদের ইচ্ছামত বেঞ্চ গঠন করতে পারছে। বিচারিক বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থার হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুললেও নিজের বক্তব্যে তার কোনও প্রমাণ দেননি তিনি।
এদিকে বিচারপতি শওকত তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যাচার বলে উল্লেখ করে বলেন, গোয়েন্দা বাহিনী জুডিশিয়াল কাউন্সিলকে তার বিরুদ্ধে প্ররোচিত করছে। বিচারপতি শওকত জুডিশিয়াল কাউন্সিলকে তার ব্যাপারে উম্মুক্ত আলোচনার আহ্বান জানান। সূত্র: ডন ও ডেইলি পাকিস্তান