ধর্ষণচেষ্টার মিথ্যা মামলা করার দায়ে সাজাপ্রাপ্ত এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দিনাজপুরের বিরামপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিবেশী এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ওই নারী মিথ্যা মামলা করেছিলেন।
ওই নারীর নাম নুরজাহান বেগম (৪৫)। তিনি বিরামপুর পৌর শহরের ঈদগাহ মহল্লার বাসিন্দা ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী। শুক্রবার (১২ অক্টোবর) ভোরে হাকিমপুর উপজেলা থেকে নুরজাহানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ওই মামলায় হয়রানির শিকার আব্দুর রাজ্জাক চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, নুরজাহানের কাছ থেকে ৩ দশমিক ৭৫ শতক জমি কেনেন তিনি। কিন্তু টাকা নেওয়ার পরও জমি রেজিস্ট্রি দিতে টালবাহানা করতে থাকেন নুরজাহান। এ নিয়ে বিরোধের জেরে ২০০০ সালের ৯ ডিসেম্বর আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ ও শ্লীলতাহানির মামলা করেন নুরজাহান। আদালত মামলাটি থানায় এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করতে আদেশ দেন। পরে দিনাজপুর জেলা আদালতে মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হলে বিচারক মামলাটি খারিজ করে দেন।
পুলিশ ও আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মিথ্যা মামলা করায় আবদুর রাজ্জাক ২০১১ সালের ২১ আগস্ট নুরজাহানের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করেন। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। ২০১৫ সালে নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন দিনাজপুর জেলা আদালতের বিচারক। একই সঙ্গে নুরজাহানের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, আবদুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ ও শ্লীলতাহানির মামলা আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ার পর থেকে মামলার বাদী নুরজাহান বেগম পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোরে হাকিমপুর উপজেলা থেকে নুরজাহানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।