জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালাস চেয়ে আপিলসহ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার তিনটি আবেদন আগামীকাল রোববার (১৪ অক্টোবর) হাইকোর্টের কার্যতালিকায় আদেশ ও শুনানির জন্য রাখা হয়েছে। অন্য আবেদন দুটি হচ্ছে কুমিল্লার মামলায় জামিন আবেদন ও খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা শুনানি স্থগিতের আবেদন।
আজ শনিবার (১৩ অক্টোবর) খালেদা জিয়ার আইনজীবী প্যানেলের অন্যতম সদস্য ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কুমিল্লায় দায়ের হওয়া নাশকতার অভিযোগের মামলায় জামিন চেয়ে করা আবেদনটি রবিবার (১৪ অক্টোবর) হাইকোর্টের কার্যতালিকায় ১৫ নম্বরে (দুপুর ২টায়) রাখা হয়েছে। ওইদিন রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে আদেশ দেবেন।
এদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা রিভিশন আবেদনের ওপর রবিবার (১৪ অক্টোবর) আদেশের জন্য হাইকোর্টের কার্যতালিকায় ৯৫ নম্বরে রাখা হয়েছে। এদিন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট খালেদা জিয়ার আবেদনের ওপর আদেশ দেবেন।
এছাড়াও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার খালাস চেয়ে করা আপিল আবেদনটি শুনানির জন্য রবিবার (১৪ অক্টোবর) হাইকোর্টের কার্যতালিকায় ১ নম্বরে রাখা হয়েছে। ওইদিন বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদনটির ওপর শুনানি হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও আর্থিক জরিমানা করা হয়। রায় ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়াকে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই আছেন।