কোনও আসামি অসুস্থ থাকাবস্থায় তার বিচারকার্য চলার নজির পৃথিবীতে নেই বলে উল্লেখ করে খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেছেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম আদালত বিষয়টি সহানুভূতিশীলভাবে দেখবেন। তারপরও আদালত আমাদের আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন। এটা খুবই দুঃখজনক। এ ধরনের আদেশ আমরা আশা করিনি।’
খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকাবস্থায় তার অনুপস্থিতিতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচার চলবে, হাইকোর্টের এমন আদেশের পর আজ রোববার (১৪ অক্টোবর) এক প্রতিক্রিয়ায় জয়নুল আবেদীন এ মন্তব্য করেন।
জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘পৃথিবীতে এমন কোনও নজির নাই। আমাদের ৭০টি ডিএলআর (ঢাকা ল’ রিপোর্টস- এর প্রতিবেদন) আছে, সেখানেও এমন কিছু পাওয়া যাবে না যে, কারও অসুস্থ থাকা অবস্থায় তার বিচার কাজ হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বিচারিক আদালত খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচার পরিচালনার আদেশ দেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে আমরা হাইকোর্ট বিভাগে এসেছিলাম। হাইকোর্টে বলেছি, একজন ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে কাতরাচ্ছেন। এ অবস্থায় তার অনুপস্থিতিতে তড়িঘড়ি করে বিচার কাজ সম্পন্নের চেষ্টা চলছে।’
খালেদা জিয়ার এই আইনজীবী আরও বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম আদালত বিষয়টি সহানুভূতিশীলভাবে দেখবেন। তারপরও আদালত আমাদের আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন। এটা খুবই দুঃখজনক। এ ধরনের আদেশ আমরা আশা করিনি। আমাদের আশা ছিল, দেশের সর্বোচ্চ আদালত স্বাধীনভাবে বিচার কাজ পরিচালনা করবেন। বিশেষ করে খালেদা জিয়ার মামলাটি নিয়ে তারা গভীরভাবে চিন্তা করবেন। আমরা সেটাও পেলাম না। ’
জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘এখন আমাদের সামনে একটা পথ আছে। সেটা হলো আপিল বিভাগ। যেহেতু বিধান রয়েছে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার, আমরা সেটি করবো। আশা করবো, সেখানে অন্তত ন্যায়বিচার পাবো।’
প্রসঙ্গত, এর আগে রবিবার জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আদালতে না আসায় তার অনুপস্থিতিতে বিচার চলবে বলে বিশেষ জজ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে করা রিভিশন আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। এই আদেশের ফলে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে মামলাটির বিচার চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।