নওগাঁর আদালতে বিচারক সংকটে বাড়ছে মামলার জট। জেলার ১১টি উপজেলার বিচারিক আদালতে ১১জন বিচারক পদে আছেন মাত্র ২জন। বিচারক সংকটে মামলার নিষ্পত্তি হার কমে যাওয়ায় বাড়ছে মামলার জট। বিচার প্রার্থীরা দুর দূরান্ত থেকে এসে পুনরায় তারিখ নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন। জেলা আইনজীবী ও সরকারী কৌশুলী বলছেন, বিচারক চেয়ে বারবার আবেদন করে শুধু মিলছে আশ্বাস কিন্তু কাটছেনা সংকট।
একটি নারী নির্যাতন মামলার বিচার চেয়ে রাশেদা বেগম তার কণ্যাকে নিয়ে গত ৫ বছর ধরে নওগাঁর আদালতে ঘুরছেন। তারিখের পর তারিখ নিয়ে ক্লান্ত রাশেদার মতো একাধীক বিচারপ্রার্থীর অবস্থা একই।
নওগাঁর ১১ টি উপজেলার বিচারিক আদালতে ১১ জন বিচরকের পদে আছেন মাত্র ২ জন। বিচারক সংকটে দুর-দুরান্ত থেকে বিচারপ্রার্থীরা বিচার চাইতে এসে তারিখ নিয়ে আবার ফিরে যাচ্ছেন।
বিচারক সংকটের কারণে নতুন মামলার গ্রহণ, শুনানি ও নিষ্পত্তির হার কমে গেছে। সংকট মোকাবেলায় বিচারকের শূণ্যপদ পূরণের আহ্বান জানান আইনজীবীরা।
বিচারক চেয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে একাধীকবার আবেদন করা হলেও শুধু আশ্বাস পাওয়ার কথা জানান, জেলা আইনজীবী সমিতির শীর্ষ দুই নেতা।
নওগাঁ বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু বেলাল হোসেন জুয়েল বলেন, ‘উনারা বিচারক দেবেন বলে আশ্বস্ত করেন। আজ কয়েকমাস হলো আমরা কোনো বিচারক পাচ্ছি না।’
নওগাঁ বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু জাফর মো. শফি মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের ১১ টা উপজেলায় ১১ জন ম্যাজিস্ট্রেট হলে আমাদের বিচারগুলো সঠিকভাবে বিচারপ্রার্থীরা বিচার পায়। সেটা আমরা কোনো দিনও পাইনি।’
জেলায় গড়ে প্রতিদিন ১০০০ মামলা আসছে আদালতে। এত মামলা দু’জন বিচারকের পক্ষে সামাল দেয়া কঠিন বলে জানান সরকারি কৌসুলী মো. আব্দুল খালেক। তিনি বলেন, ‘সাক্ষী কোথায়? পাচ্ছে না তো। এটা বেইল পিটিশন শুনতে মামলা আমলে নিতে, মামলা গ্রহণ করতে সময় চলে যাচ্ছে।’
নওগাঁ’র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে বর্তমানে ১৮ হাজার ৫০০ এবং জজ কোর্ট-এ ৪২ হাজার ৪০০টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।