বৈধ কাগজপত্র ছাড়া উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য মেঘালয়ে অনুপ্রবেশ মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী সালাউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে রায় আবারও পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (১৫ অক্টোবর) মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য থাকলেও মেঘালয় আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (প্রথম শ্রেণী) শুনানি শেষে তা ৯ নভেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেন। ওইদিনই মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।
এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো পিছিয়ে গেলো অনুপ্রবেশের দায়ে সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার রায়। গত ২৫ জুন মামলায় দু’পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়।
এরপর রায় ঘোষণার জন্য ১৩ আগস্ট দিন ধার্য করেন আদালত। পরে তা পিছিয়ে ২৮ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু ওইদিন বিচারক উপস্থিত না হওয়ায় রায় ঘোষণার দিন পিছিয়ে সোমবার (১৫ অক্টোবর) ধার্য করা হয়।
কিন্তু ওইদিন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর রায় ঘোষণার জন্য আবেদন করেন। আদালত তা মঞ্জুর করে নতুন করে রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করেন।
বিএনপি-জামায়াত জোটের সময়ে অর্থাৎ ২০০১-০৬ পর্যন্ত যোগাযোগমন্ত্রী ছিলেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্যকে ২০১৫ সালের ১ মে শিলংয়ের গালফলিংক এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, উদভ্রান্ত হয়ে ঘোরাফেরা করছিলেন তিনি। পরে পুলিশ তাকে আটক করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এরপর বিদেশি আইনে তার বিরুদ্ধে ভ্রমণের বৈধ কাগজপত্র না থাকার অভিযোগে একটি মামলা করে পুলিশ।
সালাহউদ্দিনের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, সাদাপোশাকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাতে বাসা থেকে সালাহউদ্দিনকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।
নিখোঁজের আগে দেশজুড়ে আন্দোলন করছিল বিএনপি। ওই সময় নানা বিষয়ে বিএনপির মুখপাত্র হয়ে বক্তব্য দিচ্ছিলেন দলটির এই নেতা।