আশুলিয়ায় জমি দখলের চেষ্টা, ভাঙচুরের অভিযোগের মামলায় জামিন নিতে হাইকোর্টে উপস্থিত হয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
আজ রোববার (২১ অক্টোবর) সকালে তাকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে সমিতির সভাপতির কক্ষে অবস্থান করতে দেখা যায়।
বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চে তার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করতে পারেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন।
গত ১৫ অক্টোবর রাতে আশুলিয়া থানায় এ মামলা করেন মানিকগঞ্জ জেলার হরিরাম পুরের মোহাম্মদ আলী (৫৬) ও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের আনিছুর রহমান (৫৫)।
মামলায় জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছাড়াও আরো তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন-গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের দেলোয়ার হোসেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিচালক সাইফুল ইসলাম শিশির (৫৫) ও নূর মোহাম্মদের ছেলে আওলাদ হোসেন (৪৮)।
মামলার এজহারে বলা হয়, আশুলিয়া থানার পাথালিয়া মৌজায় ৪.২৪ একর জমির ক্রয় সূত্রে মালিক মোহাম্মদ আলী, আনিছুর রহমান ও তাজুল ইসলাম। তাদের মালিকানাধীন জমিতে কাটা তারের বেষ্টনী দিয়ে টিনশেডের ঘর বানিয়ে গাছপালা রোপণ করেছেন। কিন্তু আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে এ জমি দখল করার চেষ্টা করছেন।
সর্বশেষ গত ১৪ অক্টোবর আসামিরা ওই জমিতে হাজির হয়ে বলেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নির্দেশে এ জমি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কাছে হস্তান্তর করতে হবে অথবা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে এক কোটি টাকা জরিমানা দিতে হবে। বাদীরা এ টাকা দিতে অস্বীকার করলে আসামিরা জমিতে ভাঙচুর করেন।
এর ৪ দিন পরে ১৯ অক্টোবর চাঁদা দাবি, ভাঙচুর ও জমি দখলের অভিযোগ এনে আশুলিয়া থানায় আরও একটি মামলা করা হয়। ওইদিন রাতে আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকার বাসিন্দা হাসান ঈমাম বাদী হয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ দু্ইজনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন- গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সাইফুল ইসলাম শিশির ও গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেলোয়ার হোসেন।
মামলার এজাহারে জানা যায়, জাফরুল্লাহ চৌধুরী তার মালিকানাধীন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশের একটি জমি দীর্ঘ দিন ধরে জবরদখলের চেষ্টার পাশাপাশি জমির মালিকের কাছে কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। মামলায় জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ আরও তিনজনের নামোল্লেখ করা হয়েছে।