ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন

কুড়িগ্রামের মামলায় হাইকোর্টে জামিন পেলেন ব্যারিস্টার মইনুল

কুড়িগ্রামে করা মানহানির মামলায় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ সোমবার (২২ অক্টোবর) বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন জয়নুল আবেদীন, খন্দকার মাহবুব হোসেন ও ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।

পরে জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের জানান, এ মামলায় তাকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রোববার (২১ অক্টোবর) অ্যাডভোকেট মাকসুদা বেগম বেবি বাদী হয়ে মামলাটি করেন। পরে কুড়িগ্রামের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মাহমুদুল ইসলাম মামলাটি আমলে নিয়ে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন। সমনে তাকে ২২ নভেম্বর আমলি আদালতে হাজির হওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এজাহার থেকে জানা যায়, গত ১৬ অক্টোবর মধ্যরাতে বেসরকারি একাত্তর টেলিভিশনের নিয়মিত আয়োজন একাত্তর জার্নালে রাজনৈতিক সংবাদের বিশ্লেষণ চলছিল। এ সময় মইনুলের কাছে মাসুদা ভাট্টির প্রশ্ন ছিল,‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি আলোচনা চলছে, সদ্য গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব আপনি করছেন কি-না?’ এর জবাবে মইনুল হোসেন বলেন, ‘আপনার দুঃসাহসের জন্য ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনি ‘চরিত্রহীন’ বলে আমি মনে করতে চাই।’

তার এ কটূক্তি মানহানিকর। তাই মামলাটিতে পাঁচ হাজার কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে।

এর আগে রোববার মানহানির অপর দুই মামলায় মইনুল হোসেনকে ৫ মাসের আগাম জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

রোববার দুপুরে ঢাকার মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে একটি মানহানির মামলা করেন মাসুদা ভাট্টি। একই অভিযোগ এনে জামালপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে আরেকটি মামলা করেন জেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক ফারজানা ইয়াসমিন লিটা।