রংপুরের মানহানির মামলায় গ্রেফতার সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হওয়ার পর কেরানীগঞ্জের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সাধারণ ওয়ার্ডে, সাধারণ বন্দিদের মতো রাখা হবে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুব আলম গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘তাকে (ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন) সাধারণ ওয়ার্ডে, সাধারণ বন্দিদের মতো রাখা হবে।
আজ মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর তিনটা ১০ মিনিটে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ দিন দুপুর ১টার দিকে ব্যারিস্টার মইনুলকে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হয়। মামলার শুনানি শেষে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) কায়সারুল ইসলাম ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে সোমবার (২২ অক্টোবর) রাত সাড়ে নয়টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা ও জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। রংপুরে দায়ের করা মানহানির একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ অক্টোবর বেসরকারি ৭১ টেলিভিশনের একটি টকশোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে নিয়ে অশালীন ও আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগে নারী সাংবাদিক ও সম্পাদকরা বিবৃতি দিয়ে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে ক্ষমা চাইতে বলেন। তিনি এরপর দুঃখ প্রকাশ করে লিখিত ক্ষমা চাইলেও তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান তারা।
এরপর ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন মাসুদা ভাট্টি। পরে দেশের বিভিন্ন জেলায় একাধিক মামলা দায়ের হয় তার বিরুদ্ধে। তবে মাসুদা ভাট্টি ও জামালপুরের মামলায় তিনি হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নেন। কুড়িগ্রামে দায়ের করা মামলায় আগাম জামিনের জন্য আবেদন করেন।