মামলার আসামিদের হাজিরার তারিখে জেলখানা থেকে আদালতে আনার ঝামেলা থেকে বাঁচতে নতুন নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, দেশের প্রতিটা জেলখানায় একটা করে কোর্টরুম রাখতে হবে। এতে করে মামলা পরিচালনা সুবিধা হবে।
আজ মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব অনুশাসন দেন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন। সভায় মোট ১৯ হাজার ৭৭৮ কোটি টাকার ২১ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়।
সভায় ৬২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার পুনর্নির্মাণ’ প্রকল্প অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী এই অনুশাসন দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটা জেলখানায় একটা করে কোর্টরুম রাখতে হবে। ফিজিক্যালি হাইকোর্টে না এনে যাতে ওখানে মামলা পরিচালনা করা যায়।
সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, প্রতিটা জেলখানায় একটা করে কোর্টরুম রাখতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। ফিজিক্যালি সমস্যা থাকলে যাতে করে এখানে মামলা পরিচালনা করা যায়।
তিনি আরও বলেন, জেলখানা শাস্তির স্থান না করে পুনর্বাসনের স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এখানে তাঁতসহ নানা ধরনের উৎপাদনমুখী কাজ করা হবে। এখান থেকে যে আয় হবে কয়েদিদের মধ্যে তা থেকে ভাগ দেয়া হবে। প্রতিটি জেলখানায় একটা টেলিফোন বুথ থাকবে। যাতে করে কয়েদিরা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারেন।