কুষ্টিয়ায় স্কুলছাত্র মুতাসসিম বিন মাজেদ হৃদয়কে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় ৩ আসামির ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- শহরের কালিশংকরপুর এলাকার গাফফার খানের ছেলে সাব্বির খান, হাউজিং এ ব্লকের আজম আলীর ছেলে হেলাল উদ্দিন ড্যানী ও ভেড়ামারা উপজেলার দশমাইল ক্যানেল পাড়ার মৃত মসলেম শেখের ছেলে আব্দুর রহিম শেখ ওরফে ইপিয়ার।
আজ বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এই রায় দেন।
রায় ঘোষণার সময় সাব্বির খান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি দুই আসামি পলাতক রয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ২৩ মে সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া শহরতলীর মোল্লাতেঘরিয়া পূর্বপাড়া এলাকা থেকে জিলা স্কুলের ৮ম শ্রেণির মেধাবী ছাত্র হৃদয়কে সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহরণের ৪ দিন পর অপহরণকারীরা হৃদয়ের মা তাসলিমা খাতুনের কাছে ফোন করে ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
পরবর্তীতে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে অপহরণকারীরা হৃদয়কে ছেড়ে দিতে রাজি হয়। অপহরণকারীদের কথামতো ২ জুন গোপনে নির্দিষ্ট স্থানে ২ লাখ টাকা পৌঁছে দেন হৃদয়ের মা তাসলিমা খাতুন। এরপরও অপহরণকারীরা হৃদয়কে ফেরত না দিলে হৃদয়ের মা বাদি হয়ে কুষ্টিয়া থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় পুলিশ ১০ জনকে আটক করে। পরে আটককৃতদের তথ্যনুযায়ী ৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় ভেড়ামারার ১০ মাইল এলাকার একটি ইটভাটার কাছে মাটির নিচ থেকে হৃদয়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি আকরাম হোসেন দুলাল বলেন, পুলিশের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনে আদালত দীর্ঘ সাক্ষ্য শুনানি শেষে এই হত্যাকাণ্ডে সন্দেহাতীতভাবে আসামিদের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে। ফলে আসামিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।