মধ্যরাতে রাজধানীর রামপুরা টিভি সেন্টার এলাকায় চেকপোস্টে তল্লাশির নামে এক তরুণীকে হেনস্তা ও এর ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যকে অভিযুক্ত করেছে বাহিনীর তদন্ত কমিটি। একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশও করা হয়েছে।
আজ রোববার (২৮ অক্টোবর) বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কমিটির প্রধান খিলগাঁও জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) নাদিয়া জুঁই।
অভিযুক্ত তিনজন হচ্ছেন রামপুরা থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ইকবাল হোসেন এবং পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টের (পিওএম) দুই কনস্টেবল মিজানুর ও তৌহিদ।
নাদিয়া জুঁই বলেন, প্রতিবেদনটি বৃহস্পতিবার ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াকে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদনে সেদিন রাতে উপস্থিত ৫ পুলিশ সদস্যের প্রত্যেকের ভূমিকা উল্লেখ করা হয়েছে। তিনজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত বাকি দুইজনের (কনস্টেবল জিতু ও রকিবুল) ভূমিকাও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ইতিমধ্যে রামপুরা থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ও চেকপোস্টের টিম লিডার ইকবাল হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
গত ২২ অক্টোবর মধ্যরাতে রামপুরায় পুলিশের ওই তল্লাশি চৌকিতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার যাত্রী তরুণী হেনস্তার শিকার হন। এ নিয়ে তরুণীর সঙ্গে তল্লাশি চৌকির পুলিশ সদস্যদের বাগবিতণ্ডার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকেই শুরু হয় সমালোচনা।
এই প্রেক্ষাপটে পুলিশের খিলগাঁও জোনের এসি নাদিয়া জুঁইয়ের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি বিভাগীয় কমিটি করে তদন্তের জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেওয়া হয়।