সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ সোমবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহ উভয় পক্ষের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের পক্ষে জামিনের শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া ও সৈয়দ জয়নাল আবেদিন মেজবাহ। তাদের সঙ্গে আরও একাধিক আইনজীবী ছিলেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ব্যারিস্টার মইনুলের জামিনের বিরোধিতা করেন ঢাকা মহানগর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আবু আব্দুল্লাহ।
গত ১ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পর ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার দেখান ঢাকা মহানগর হাকিমের আদালত এবং মামলার প্রতিবেদনের জন্য আগামী ২৯ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ২৪ অক্টোবর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালতে আ. লীগ যুব ও ক্রীড়া উপ-কমিটির সদস্য সুমনা আক্তার লিলি মামলাটি দায়ের করেন। পরে আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এজাহার গ্রহণ করার নির্দেশ দেন।
মামলায় অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১৬ অক্টোবর রাতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ৭১ -এ প্রচারিত মিথিলা ফারজানা সঞ্চালিত টক শো ‘৭১ জার্নাল’ চলাকালে মাসুদা ভাট্টি ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে প্রশ্ন করেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে আপনি যে হিসেবে উপস্থিত থাকেন, আপনি বলেছেন, একজন নাগরিক হিসেবে উপস্থিত থাকেন। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে বলেন, আপনি জামায়াতের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত থাকেন।’ মাসুদা ভাট্টির এই কথার জবাবে মইনুল হোসেন বলেন, ‘আপনার দুঃসাহসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনাকে আমি চরিত্রহীন বলে মনে করতে চাই।’ একজন নারীর প্রতি ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের এমন ইচ্ছাকৃত ধারাবাহিক কুৎসা রটনা ও আক্রমণাত্মক বক্তব্য মাসুদা ভাট্টি ও নারী জাতির প্রতি বিরক্তিকর, অপমানজনক, অপদস্থমূলক এবং হেয় প্রতিপন্নকর বলে বাদী মনে করেন। প্রকাশ্যে এ ধরনের বক্তব্য প্রকাশ করা মাসুদা ভাট্টি তথা নারী জাতির জন্য সম্মানহানির। বিষয়টি নিরসনকল্পে কারণে মইনুল হোসেন প্রকাশ্যে কোনোরূপ ক্ষমা প্রার্থণা কিংবা দুঃখ প্রকাশ করেননি।