কুষ্টিয়ায় ‘মিথ্যা’ মামলা দায়েরের অভিযোগে মামলার বাদী ও মামলা রেকর্ডধারী সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী সংশ্লিষ্ট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটকে এ নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, দৌলতপুর থানার চরসালিমপুর গ্রামের মৃত পঞ্চানন পঞ্চানন্দ কর্মকারের স্ত্রী সুচিত্রা কর্মকারকে তার ছেলে সুশান্ত কর্মকার ও ছেলের বউ সুবর্ণা কর্মকার ঠিকমত খাবার না দিয়ে গালমন্দ করতো। বিষ খেয়ে কিংবা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করার জন্য প্ররোচনা করতো। এমন অভিযোগে নিহতের ভাইয়ের ছেলে চিত্তরঞ্জন কর্মকার বাদী হয়ে নিহতের ছেলে ও ছেলের বউয়ের বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন।
সরকারি কৌঁসুলিরা (পিপি) অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, মাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে ছেলে ও ছেলের বউয়ের বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় দায়ের করা মামলা তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। আদালত দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে প্রতীয়মান হয় যে, মামলাটি মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। মিথ্যা মামলা দায়ের করে ওই মামলার আসামিদের যে ভোগান্তি দেওয়া হয়েছে তার একটা ন্যায় ও সুবিচার হোক।
তিনি বলেন, আদালত রায় ঘোষণার সময় মামলার আসামি সুশান্ত কর্মকার ও তার স্ত্রী সুবর্ণা কর্মকারকে বেকসুর খালাস দেন। একই সঙ্গে পেনাল কোড- ১৮৬০ এর ২০৩ ধারায় মামলার এজাহারকারী চিত্তরঞ্জন কর্মকার ও দৌলতপুর থানার তৎকালীন মামলা রেকর্ডধারী পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটকে।
এ ঘটনার মধ্যদিয়ে আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে মিথ্যা মামলা দায়েরকারী এবং সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের সতর্ক বার্তা দিতে চেয়েছেন আদালত।