বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে নার্সিং বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের পেশাগত সনদ রেজিস্ট্রেশন পরীক্ষা (লাইসেন্সিং) গ্রহণ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। বাংলাদেশ নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের রেজিস্ট্রারকে এই আদেশ বাস্তবায়ন করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে নার্সিং কাউন্সিলের করা আপিল খারিজ করে আজ মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বিচারপতি বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এই আদেশের ফলে, অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন ও সনদ দান পরীক্ষা গ্রহণে আর কোন বাধা নেই। আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন অ্যাডভোকেট মো. আবুল কালাম।
আদালতে আজ রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারোয়ার আহমেদ এবং তার সঙ্গে ছিলেন নাহিদ সুলতানা। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যার্টনি জেনারেল মো. মুরাদ রেজা।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করে থাকে। নার্সদের পেশাগত সনদ ও রেজিস্ট্রেশন (নিবন্ধন) দিয়ে থাকে প্রতিষ্ঠানটি।
এর আগে ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ড থেকে পাস করা ‘ডিপ্লোমা-ইন নাসিং’ কোর্সের ছাত্র-ছাত্রীদের লাইসেন্সিং পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে চিঠি দেয়া হয়।
এরপর একই বছরের ৩ ডিসেম্বর লাইসেন্সিং পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেয়ার জন্য কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে চিঠি পাঠানো হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে।
তারপরও শিক্ষা মন্ত্রণালয় কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় পেশাগত সনদ ও রেজিস্ট্রেশনের দাবিতে রিট করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান ও রেজিস্ট্রার নার্সিং কাউন্সিল কর্তৃপক্ষের প্রতি রুল জারি করেন।
ওই রুলের শুনানি নিয়ে চলতি বছরের ৭ মার্চ রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। রায়ে বাংলাদেশ নাসিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের রেজিস্ট্রারকে তাদের পেশাগত সনদ সংক্রান্ত পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ করে দেয়ার নির্দেশ দেন।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে নার্সিং কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ। ওই আপিলের শুনানি নিয়ে তা খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।