তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে সকলেই যখন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বুঁদ হয়ে আছে ঠিক সেই সময়ে ফ্লোরিডা সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা হল একটি অদ্ভুত মামলা। আর তা হল কোন আদালতের বিচারপতি এবং সেই আদালতেরই কোনো আইনজীবী কি একে অপরের ফেসবুক ফ্রেন্ড হতে পারেন? এই প্রশ্নের উত্তর স্পষ্ট করল আদালত। বললেন বিচারক এবং আইনজীবী ‘ফেসবুক ফ্রেন্ড’ হতে বাধা নেই। খবর লাইভ ল’ ডট ইন
ফ্লোরিডার সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিল একটি সংস্থা। তাদের দাবি ছিল, বিচারক যদি ফেসবুকে কোনো আইনজীবীর ফেসবুক ফ্রেন্ড হন, তা বলে কোনো মামলায় সেই বন্ধুত্বের প্রভাব পড়তেই পারে।
আদালত বলেছে, ফেসবুকের বন্ধু আর বাস্তবের বন্ধুত্বের মধ্যে আকাশ-পাতাল ফারাক। তা বন্ধুত্ব থাকাটা কোনো অপরাধ নয়। বন্ধুত্বের সঙ্গে পেশাগত কারণের কী সম্পর্ক থাকতে পারে। বিষয়টা আইনের এবং অপরাধীকে চিহ্নিত করার। উল্টো দিকে অন্যায়ের শিকার হওয়ার ব্যক্তিকে ন্যায় পাইয়ে দেওয়া। ফলে বিচারক এবং আইনজীবীর সঙ্গে ফেসবুক বন্ধুত্ব থাকার মানে মোটেই এমন নয় যে, বিচারক আইন বিরুদ্ধ কোনো রায় দেবেন!
আদালত বেশ অর্থবহ ভাবেই বলেছে, ফেসবুকের ফ্রেন্ড হয়তো কারও বন্ধু হতেও পারে আবার নাও হতে পারে। কারণ, ফেসবুকে ফ্রেন্ড হওয়া সমস্ত বন্ধুকেই কেউ সশরীরে নাও চিনতে পারেন। এ ব্যাপারে নিজের ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্টে চোখ রাখলেই স্পষ্ট হয়ে যায়।
বলে রাখা ভালো, মামলাটি করেছিল একটি ল’ ফার্ম। তারা দাবি করেছিল, বিচারক এবং আইনজীবী ফেসবুক ফ্রেন্ড হলে বিচারক কোনো মামলায় পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে পুরো মামলার রায়ে তার প্রভাব পড়ে।